‘কুরআনের অবমাননা মুসলিমদের জন্য অপমানজনক। আমাদের মসজিদ ও মুসল্লিরা হুমকির মধ্যে রয়েছে। বর্ণবিদ্বেষীরা প্রতিদিন মুসলিমদের বিরুদ্ধে ফাঁদ পাতছে।’-স্টকহোম সেন্ট্রাল মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের সেন্ট্রাল মসজিদে চালানো বিদ্বেষী হামলা ও পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্টকহোমের সেন্ট্রাল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। হামলাকারীরা কুরআনের একটি ছিন্নভিন্ন কপিকে মসজিদের প্রবেশদ্বারের বাইরে ঝুলিয়ে রেখে মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত হানে।
এই ঘটনার পরপরই স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। পবিত্র কুরআনের অবমাননা তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। স্টকহোম সেন্ট্রাল মসজিদ কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, একটি ক্ষতিগ্রস্ত কুরআনকে লোহার রেলিংয়ে শিকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। কুরআনের কপিটি তছনছ করা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ওই মসজিদটি প্রায়ই হামলার শিকার হয়ে থাকে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে লিখেছে, ‘কুরআনের অবমাননা মুসলমানদের জন্য অপমানজনক। আমাদের মসজিদ ও মুসল্লিরা হুমকির মধ্যে রয়েছে। বর্ণবিদ্বেষীরা প্রতিদিন মুসলিমদের কলঙ্কিত করতে ফাঁদ পাতছে।’
মসজিদ কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের ধর্মীয় কার্যক্রম ও সভা-বৈঠককে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। এজন্য হামলার ছবি সংবলিত তথ্য আমরা শেয়ার করলাম, যাতে বিশ্ববাসী জানতে পারে আমাদের সাথে কী ঘটছে।’ তবে হামলার শিকার মসজিদটি অতীতেও বারংবার উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হয়েছে।
তাই নতুন করে হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি আগের ঘটনাগুলোর সাথেই সম্পর্কিত। হামলাকারীরা মসজিদটির দরজায় ইসলাম বিরোধী গ্রাফিতি এঁকে গিয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট, হামলাকারীরা ইউরোপে ইসলামের প্রসার ও বৃদ্ধি দেখতে চায় না।
উল্লেখ্য, সুইডেনে কিছুদিন ধরে কুরআনের ওপর হামলা বাড়ছে। এর আগে সুইডিশ ও ড্যানিশ নাগরিক রাসমুস পালুদান স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে কুরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে। এতে সে বিশ্বের সব মুসলিমের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে। পালুদান একটি উগ্র ডানপন্থী ড্যানিশ অভিবাসন-বিরোধী দলের নেতৃত্ব দেয়।
স্টকহোম সেন্ট্রাল সমজিদের ইমাম ও পরিচালক মাহমুদ খলফি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে স্টকহোমে কুরআন পোড়ানোর ঘটনার সাক্ষী। গত বছরের ডিসেম্বরে তার চোখের সামনে ঘটনাটি ঘটেছিল। তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয় জানে, ঘটনাটি কত বেদনাদায়ক ছিল। কুরআন আল্লাহর বাণী। কুরআন পোড়ানো মানেই মুসলিমদের আগুনে জ্বালানো।’