পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোমবার যোশীমঠের সংকটকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, হাই কোর্ট এই শুনানি শোনার জন্য যথেষ্ঠ যোগ্য। মূল বিষয়গুলিকে হাই কোর্টের সামনে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শুনানির সময়, উত্তরাখণ্ড সরকার শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে যে, বিষয়টি ইতিমধ্যেই হাই কোর্টে বিচারাধীন।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, গত ১২ জানুয়ারি হাই কোর্ট যোশীমঠ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি আদেশ দিয়েছে। বিচারপতি আরও বলেছেন, হাই কোর্টে গত বছর ঘটে যাওয়া একটি বিপর্যয় মামলার শুনানি চলছে এবং একই সময়ে যোশীমঠের বিষয়টিও সামনে এসেছে। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, যোশীমঠের মামলাটি আগেই মামলার মতোনই। হাইকোর্ট ইতিমধ্যে এই মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন ও এনটিপিসি থেকেও জবাব তলব করেছে। সেই সঙ্গে হাই কোর্ট উত্তরাখণ্ড সরকারকে নির্মাণ কাজ বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আবেদনকারীর আবেদন ছিল ক্ষতিগ্রস্তদের পূণর্বাসন ও ত্রাণের বিষয়। সেই বিষয়টিও হাই কোর্টকে দেখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, হাই কোর্টকে আবেদনকারীর আবেদন দ্রুত শোনার জন্য আমরা অনুরোধ করব।
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠের সংকটকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেন ধর্মগুরু স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। সরস্বতী তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, মানুষের জীবন এবং তাদের বাস্তুতন্ত্রের মূল্যে কোনও উন্নয়নের প্রয়োজন নেই। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে তবে সেই বিষয়টি রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের কর্তব্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেটিকে বন্ধ করা।