নয়াদিল্লিঃ মণিপুর হাইকোর্টেরই রায়কে বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে তপশিল জাতি, তপশিল উপজাতি এবং ওবিসি–র জন্য সংরক্ষণের কোটা পরিবর্তনের পক্ষেই রায় দিল।এই রায়ের ফলে মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তফশিল জাতির সংরক্ষণ ১৫ শতাংশ থেকে কমে ২ শতাংশ হয়ে গেল। তফশিল উপজাতিদের সংরক্ষণ ৭.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩১ শতাংশ হয়ে গেল এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ ২৭ শতাংশ থেকে কমে ১৭ শতাংশ হয়ে গেল।এই সিদ্ধান্তে লাভবান হবেন তফশিল উপজাতি প্রার্থীরা। তাঁদের সংরক্ষণ ২৩.৫ শতাংশ বেড়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি নাগেশ্বর রাওকে নিয়ে গড়া এক বেঞ্চ এই রায় দেওয়ার সময় বলেছে, উত্তরপূর্ব ভারতে উপজাতির সংখ্যাই বেশি। এই অঞ্চলের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ওবিসি–র জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা বহাল রাখতে অন্যদের কোটা বদল করতে পারবে না। তাই উপজাতি প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার কাজটা মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়কেই করতে হবে। মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষণে যে বদল করেছে তা রাজ্য সরকারের সংরক্ষণ নীতিকে মেনেই করা হয়েছে। মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮০ সালে স্থাপিত হয়। ২০০৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়। ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ নীতি চালু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়।২০০৯–১০ অর্থবর্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয় নীতি বদলে এসসি প্রার্থীদের জন্য ১৫ শতাংশ, এসটি প্রার্থীদের জন্য ৭.৫ শতাংশ এবং ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ রাখার কথা ঘোষণা করে। এরপর ফের ২০১২ সালে তা বদলে এসসি প্রার্থীদের জন্য ২ শতাংশ, এসটি প্রার্থীদের জন্য ৩১ শতাংশ এবং ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ রাখার কথা বলা হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে তফশিল জাতির কয়েকজন প্রার্থী মণিপুর হাইকোর্টে মামলা করে। হাইকোর্ট সে মামলা গ্রহণ না করায় মেঘালয় হাইকোর্টে মামলা করা হয়। মেঘালয় হাইকোর্ট বিষয়টি বিচারের জন্য মণিপুরের এক সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে পাঠায়। সেই বেঞ্চ বলে, যে আদেশ হয়েছে তা যথোচিত। তখন মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টর দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টও কিন্তু মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষেই রায় দিল।