দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষা পিছানোর দাবিতে স্কুলের সামনের রাস্তায় বসে পথ অবরোধ করলো রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রেজিস্ট্রেশন সঙ্ক্রান্ত বিষয়ে স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ডাকা হয়। স্কুলে এসে তারা বিভিন্ন জনের কাছে খবর পায় যে স্থানীয় স্কুলগুলো বিষয় ভিত্তিক সম্ভাব্য প্রশ্নের একটি করে সাজেশন দিন পাঁচেক আগেই পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করেছে। একমাত্র তাদের বালিকা বিদ্যালয়ে সেটা দেওয়া হয় নি। এরপর দিদিমণি থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার সাথে দেখা করলে তাঁরা প্রত্যেকে বলেন, সিলেবাস তো ছাত্রীরা জানে। কিন্তু যেহেতু কোভিড অতিমারীর কারণে কোন ক্লাস হয় নি বা ষোলো নভেম্বর স্কুল খুলেই দিদিমনিদের মধ্যে আটজনের কোভিড সঙ্ক্রমণ হয়, ফের স্কুল বন্ধ হয় এবং সিলেবাস শেষ হয় নি, তাই পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে এবং সাজেশন দিতে হবে।সেই দাবিতে স্কুলের সামনের রাস্তায় তারা বসে পড়ে পথ অবরোধ শুরু করে দেয়। একই সুরে কথা বলেন কয়েকজন অভিভাবক।
অভিভাবক মুদাসর হোসেন বলেন, যদি ফাইনাল পরীক্ষা না হয়, এই টেস্টের রেজাল্টের উপর ভিত্তিতে নাম্বার হবে। তাই পরীক্ষা পেছানো হোক। নাহলে সাজেশন দেওয়া হোক। সাজেশন দিলে পরীক্ষার্থীদের সুবিধা হতো। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা এখন বলছেন প্রতিদিন এসে সাজেশন নিয়ে যেতে। মাত্র কদিন বাকি। এত ছাত্রী কি করে সবাইকে দেবেন?
আর এই স্কুলে আটজন শিক্ষিকা কোভিড পজিটিভ হন মাত্র কদিন আগে। বড়োরা তো সবাই দুটো ডোজ পেয়েছেন। এই বাচ্চারা তো পায় নি। কোন সাহসে স্কুলে পাঠাবো। পরীক্ষার দিন পিছানো হোক।
রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার বলেন, সরকারের নির্দেশ তেরো ডিসেম্বর থেকে চব্বিশে ডিসেম্বরের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা শেষ করতে হবে। কয়েকজন স্টাফের কোভিড পজিটিভ হওয়ার কারণে একটু পিছিয়ে এই স্কুলে পনেরো তারিখ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক টেস্ট নেওয়া হবে। এই সিডিউল চেঞ্জ করা যাবে না। সাজেশনের নিতে হলে স্কুলে আসতে হবে। অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি। বাচ্চাদের বোধবুদ্ধি কম, তাই অবরোধ করেছে।