দেবিকা মজুমদার: বাংলাই পথ দেখায় গোটা দেশকে। হাতে মাত্র আর কটা দিন তারপরেই রীতিমতো শুরু হয়ে যাবে লড়াই লড়াই আর লড়াই। হ্যাঁ, রাজনৈতিক লড়াই। অর্থাৎ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে, কমিশনের প্রস্তুতিও একেবারেই সারা, এখন শুধু অপেক্ষা নির্ঘণ্ট প্রকাশের। তারপরেই প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচন হবে গোটা দেশ জুড়ে। নির্বাচন হবে এই রাজ্যেও। সম্ভবত এবারই প্রথমবার যখন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের আবেদন করা হয়েছে বিশেষভাবে সক্ষম যে সমস্ত কর্মীরা আছেন তারা যদি স্বেচ্ছায় ভোটকর্মী হিসেবে ভোটের সময় কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য বুথ তৈরি করে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারেরই বিশেষভাবে সক্ষম অনেক কর্মচারী রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন তারাও অংশগ্রহণ করতে চান আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একজন ভোটকর্মী হিসেবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর কোনওরকম ভাবেই তা এক মুহূর্ত আর ফেলে রাখতে চায়নি। সেই কারণেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের এই বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে এবং আবেদন করা হয়েছে যাতে বিশেষভাবে সক্ষম কর্মচারীরাও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কাজ থেকে ব্যাহত না থাকে বা বাদ পড়ে না যায়।
কমিশন সূত্রে খবর, বেশ কিছু জেলায় অনেকগুলি বুথ তৈরি হচ্ছে বা হতে চলেছে যেখানে বুথে ভোট কর্মীরা থাকবেন যারা একেবারেই বিশেষভাবে সক্ষম। আর এই জায়গা থেকেই খুব সহজেই বলা যায় গোটা দেশের মধ্যে এবার প্রথম পশ্চিমবঙ্গই নদীর সৃষ্টি করতে চলেছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিশেষভাবে সক্ষম ভোট কর্মীদের নিয়ে তৈরি হতে চলেছে বুথ। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, এবার রাজ্যে মহিলা, পুরুষ এবং তৃতীয় লিঙ্গ নির্বিশেষে বিশেষ ভাবে সক্ষম মোট ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ৩১ হাজার ১৪৪। এর মধ্যে বিশেষ ভাবে সক্ষম পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬৮। বিশেষ ভাবে সক্ষম মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৬০ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদের সংখ্যা ১৬। সবথেকে বেশি বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটার আছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায়। ওই জেলায় বিশেষ ভাবে সক্ষম পুরুষদের সংখ্যা ৪২ হাজার ৫৭১, বিশেষ ভাবে সক্ষম মহিলাদের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৩৬ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা ২।