পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কয়েক বছর আগে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এক্সপ্রেসওয়েতে রানওয়ে গড়া হয়েছে। সেখানে বায়ুসেনার ভারী সামরিক পরিবহণ বিমান উড়ানের সফল মহড়াও হয়েছে বেশ কয়েক বার।
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, এবার সেই কৌশল অনুযায়ীই সীমান্তে তৈরি করা হচ্ছে রোড-টানেলের মধ্যে সামরিক অস্ত্র রাখার ঘাঁটি।
আগামী বছরের জুন মাসে বালিপাড়া-তাওয়াং রুটে দুটি বড় মাপের রোড টানেল-এর উদ্বোধন হওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যে দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অন্য পরিকল্পনার কথা ভাবছেন। মূলত সীমান্ত এলাকায় বহুমুখী পরিকল্পনায় কাজে লাগবে এমন বেশ কিছু টানেল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবহারের জন্য প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা-র কাছাকাছি রোড-টানেলগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত করার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে!
আগামী দিনে যে টানেলগুলি তৈরি করা হবে, সেখানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বহুমুখী টানেল তৈরির ওই পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্বে থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন ।
আর এই যাবতীয় প্রস্তুতি দেখে দেশের সামরিক বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ মনে করছেন, সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের আক্রমণের আশঙ্কার কি একেবারে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে?
অন্তত প্রস্তুতির ধরন দেখে তেমনটাই মনে করছেন ওই সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
তার কারণ, যুদ্ধের সময় শত্রু পক্ষের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা থেকে অস্ত্র বা অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন।
আগামী বছর অরুণাচল প্রদেশের বালিপাড়া-চারদুয়ার-তাওয়াং এলাকার সেলা, নেচিফুর মতো যে সুড়ঙ্গগুলি সাধারণের চলাচলের জন্য খোলা হবে, সেগুলিতে ওই জাতীয় ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, তিব্বতের রাজধানী লাসার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত রাখার জন্য বোমা প্রতিরোধ করার মত টানেল ভূগর্ভে তৈরি করা হয়েছে চিনের তরফে। একই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে লাদাখের কাছে ডেমচকের গার গুনসা ঘাঁটিতে।