পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিয়ে বাড়িতে গিয়ে আর ফেরা হল না। বন্ধুদের হাতে খুন দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের ছেলে লক্ষ্য চৌহান (২৬)। লক্ষ্য শুধু এসিপি’র ছেলে নন, তিনি নিজেও তিস হাজারি কোর্টের একজন আইনজীবী ছিলেন। এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হলেও অপরজন পলাতক। জবানবন্দিতে পরিকল্পনা করে খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই বন্ধু।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ জানুয়ারি লক্ষ্য, বিকাশ ভরদ্বাজ ও অভিষেক নামে দুই বন্ধুর সঙ্গে সোনিপথে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। রাত পার হয়ে যাওয়ার পর বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করে তার পরিবার। এসিপি নিজে ছেলের জন্য একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন ২৩ জানুয়ারি। পরিচিত কোনও জায়গায় খোঁজ না পেয়ে, বিয়েবাড়ির ঠিকানা ধরে এগোতে গিয়ে একটি পুকুর থেকে লক্ষ্যের দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, বিয়েবাড়িতে থেকে ফেরার ভরদ্বাজ ও অভিষেকের হাতে খুন হন লক্ষ্য।
অভিষেক জানিয়েছে, ভরদ্বাজই ওই বিয়েবাড়িতে ডেকেছিল লক্ষ্যকে। বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে মুনাক ক্যানালের কাছে শৌচকর্ম করতে নেমেছিলেন তিন বন্ধু। সেই সময় আচমকাই লক্ষ্যকে পিছন থেকে ঠেলে খালে ফেলে দেয় অভিষেক ও ভরদ্বাজ। এরপর ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রবি কুমার জানিয়েছেন, অভিষেকের বাড়ি নারেলার জওহর ক্যাম্পে। সে জামা-কাপড় বিক্রেতা। অভিষেক পারিবারিক একটি বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় তিস হাজারি কোর্টের ক্লার্ক বিকাশ ভরদ্বাজের কাছে এসেছিল। অভিষেক পুলিশকে বলে, ভরদ্বাজ তাকে ও লক্ষ্যকে সোনিপথের একটি বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। অভিষেক পুলিশকে আরও জানায়, ভরদ্বাজ তাকে বলেছিল লক্ষ্য তার কাছ থেকে টাকা ধার করেছিল। কিন্তু টাকা ফেরৎ চাওয়ার সময়, সে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দুজনে মিলে লক্ষ্যকে খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিষেক। অভিষেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, ভরদ্বাজের সন্ধানে খোঁজ চলছে।