দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: রাম নবমীতে কোথাও মুসলিম ভাইয়ের দেওয়াল লিখন, ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির আবহ, এটাই বাংলার সংস্কৃতি। বীরভূমের রামপুরহাট শহরের বাসিন্দা সাহাজাদা হোসেন কিনু নিজে দেওয়ার লিখন করেছেন। রামপুরহাট পুরসভার চোদ্দ নং ওয়ার্ডে শহরের মানুষকে শুভ নববর্ষ ও রাম নবমীর আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিনু। নিচে লিখেছেন, শুভেচ্ছান্তে সাহাজাদা হোসেন (কিনু)।
রাম নবমী অন্যান্য ধর্মীয় দিবস হিসেবেই ছিল। কিন্তু এখন এই ধর্মীয় দিবস ধর্মীয়স্থল থেকে রাস্তায় পা রেখেছে। এতে লাভ হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের। এখানেই ইতি টানতে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নবমীকে ঘিরে যেমন বিচ্ছিন্ন ভাবে রাজ্যে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তেমনি অনেকেই মানুষের আবেগকে ব্যবহার করে রাজনীতির রুটি সেঁকতে চেয়েছে বিজেপির মতো রাজনৈতিক দল। তাই একপক্ষ যেমন নির্দিষ্ট কিছু অনুভূতি প্রবণ জায়গা দিয়ে মিছিল করতে অনীহা দেখায়। তেমনি কিছু পক্ষ চেয়েছে, যা হবে হোক ওই দিকেই যেতে হবে। এই দড়ি টানাটানি আদালত পর্যন্ত গিয়েছে। শর্ত সাপেক্ষে অনুমতিও মিলেছে। যতদূর জানা গেছে, তৃণমূল কংগ্রেস দশ কুইন্ট্যাল লাড্ডু ও পনেরো কুইন্ট্যাল মিহিদানা তৈরি করছে। পাঁচ মাথায় সবাই জমায়েত করবে। পাড়ায় পাড়ায় মিছিল হবে।
আজকের দিনে সাহাজাদা হোসেন কিনুর মতো মানুষের প্রচেষ্টা রাজনীতির ব্যাপারীদের ব্যবসায় টান পড়তে পারে। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট রাম নবমী আর পাঁচটা বিশেষ দিনের মতো। পালন করো সামাজিক রীতিতে। প্রীতি হোক, শুভেচ্ছা হোক। সম্প্রীতি আপনা আপনি আসবে। তার এই দেওয়াল লিখন জাতি পড়তে পারবেন তো? প্রশ্ন থাকছে আমাদের দিকেই!