পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: একদিকে যখন পেশ করা হচ্ছে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ আর্থিক বাজেট।অন্যদিকে তখন সারা বিশ্বজুড়ে তোলপাড়। শিল্পপতি গৌতম আদানি শীর্ষস্থানীয় বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় এক ধাক্কায় সরাসরি ১৫ নম্বরে নেমে এসেছেন। মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পরেই কি ধ্বস নামল আদানির সম্পদে!
তবে কিছুটা আশা জাগিয়ে শুক্রবার চারটি সংস্থার শেয়ার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এরফলে গৌতম আদানি বিশ্বের শীর্ষ ২০ বিলিয়নেয়ার তালিকায় ফের জায়গা করে নিয়েছেন। শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় চারটি শেয়ারেই ছিল সবুজ সঙ্কেত। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পরেই কেন ধস নামল আদানির সম্পদে। কি এমন ছিল সেই রিপোর্টে। দেখা যাচ্ছে ওই রিপোর্টের পরেই আদানি গ্রুপ অফ কোম্পানি গুলিকে ৩৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। হিন্ডেনবার্গের এই রিপোর্ট প্রকাশের পর জানুয়ারি মাসে আদানি গ্রুপের ২ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কি এমন ছিল হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে:
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি একটি ৩২,০০০ হাজার শব্দের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে হিন্ডেনবার্গ। এই রিপোর্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল আদানির সম্পদ। প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ৮৮টি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। হিন্ডেনবার্গ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে শিল্পপতি গৌতম আদানি বিগত কয়েকদশক ধরে স্টক মার্কেটকে ম্যানুপুলেট করেছেন এবং শুধু তাই নয় একই সঙ্গে তিনি অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির সঙ্গেও জড়িত।
ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির সম্পদ বৃদ্ধির কারণে মাত্র এক বছরে তিন বিলিয়ন ডলার বেড়ে হয়েছে ১২০ বিলিয়ন ডলার। এখানেই শেষ নয় আদানি গোষ্ঠীর মোট ৭টি সংস্থার শেয়ার দর গড়ে ৮১৯ শতাংশ বেড়েছে।
তবে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ধস নামার কারণে কিন্তু লাভবান হয়েছেন আরেক ভারতীয় শিল্পপতি রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। ৮৩.৭ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে তিনি উঠে এসেছেন নবম স্থানে।