এস জে আব্বাস, শক্তিগড়: পরলোক গমন করলেন বর্ধমান ২ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল দত্ত। এছাড়াও তিনি ছিলেন বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই জনপ্রিয় নেতার মৃত্যুতে এলাকার নেতা, কর্মী ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একটা সময় যখন বর্ধমান জেলা লাল দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই সময় বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র ছিল লাল দুর্গের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। সেই জায়গা থেকে তার লড়াকু নেতৃত্ব ও জনসংযোগ বামফ্রন্টের হাত থেকে ব্যাটন ছিনিয়ে আনতে সাহায্য করেছিল। সেই থেকেই জয়ের ধারা আজও অব্যাহত। জানা গেছে,তিনি দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিকভাবে খুব একটা ভালো জায়গায় ছিলেন না। তবুও শরীরকে উপেক্ষা করে দিনরাত পার্টি তথা সমাজের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। যেকোনও সময় অসহায়, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের ডাকে ছুটে যেতেন। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ ব্লকের প্রতিটি দুয়ারে পৌঁছেছিল। মানুষের বিপদে বা অসুবিধায় তিনি কখনও রাজনৈতিক রঙ দেখেননি। প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে দারুণ সু- সম্পর্ক ছিল তাঁর।
রাজ্যের মন্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি মোবাইল মারফত শ্যামল বাবুর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।
বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক জানান, তাঁর হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে পা দেওয়া। অসম্ভব রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ছিল। এলাকায় ছিলেন দারুণ জনপ্রিয়। আমরা অভিভাবক হারা হয়ে গেলাম। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।
এদিন তাঁর মরদেহের মাল্যদান করেন, বিধায়ক নিশীথ মালিক সহ বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, সহ-সভাপতি দেবু টুডু, কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম, মোঃ ইসমাইল, মেহবুব মণ্ডল,সদস্য নুরুল ইসলাম, দেব নারায়ণ গুহ, পরমেশ্বর কোনার, মেহবুব রহমান, সৌভিক পান, বর্ধমান ২ এর বি ডি ও সুবর্ণা মজুমদার, শক্তিগড় থানার ওসি কুনাল বিশ্বাস সহ এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান,উপপ্রধান ও সদস্যবৃন্দ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পুত্র কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় বুধবার সকাল নয় ঘটিকায় বাসভূমি সোডডা গ্রামের শ্মশানে তাঁর দাহকার্য সম্পন্ন হবে। মৃত্যুকালে রেখে গেছেন স্ত্রী,এক পুত্র ও এক কন্যা।