পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আগেই ‘না’ করেছিলেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধি। এবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন শরদ পাওয়ার। তিনি জানান, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন প্রচুর মানুষের সমাগম হবে অযোধ্যায়। রামলালার দর্শন সহজ হবে না। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। রাম দেশ তথা বিশ্বের অজস্র মানুষের বিশ্বাস ও ভক্তির প্রতীক। মন্দিরকে কেন্দ্র করে রামভক্তদের মধ্যে প্রভূত উৎসাহ রয়েছে। আমি এখন যাব না। ২২ জানুয়ারির পরই রামমন্দির দর্শনে যাব। ততদিনে মন্দিরের বাকি অসম্পূর্ণ কাজ হয়ে যাবে।
এনসিপি নেতা আগেই জানিয়েছিলেন, ২২ তারিখ আমন্ত্রণ পেলেও তিনি সেখানে যাবেন না। বুধবার ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাইকে চিঠি দিয়ে একথাই নিশ্চিত করলেন এনসিপি প্রধান। পাশাপাশি তিনি এ’ও জানান, যেদিন পূর্ণাঙ্গ মন্দির তৈরি হয়ে যাবে সেদিন তিনি সেখানে যাবেন। এবং ভক্তিভরে রামের পুজো করবেন।
মঙ্গলবারই শরদ পওয়ার রামমন্দির নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির আমলে রামমন্দির শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়েছিল। আজকে বিজেপি ও আরএসএস ভগবান রামের নামে রাজনীতি করছে।”
এনসিপি নেতার বক্তব্য, রামমন্দির শিলান্যাস অনুষ্ঠান রাজীবের আমলে হলেও তা নিয়ে রাজনীতি হয়নি। আজ যার সাক্ষী হচ্ছে মোদির ভারত।
উল্লেখ্য,বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ শরদ পওয়ার। অথচ একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শরদ পাওয়ারের রাজনৈতিক নৈকট্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনিতেই শিবসেনার ঘর ভাঙার অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এনসিপি ভাঙ্গারও ছক কষছেন বিজেপি। ইতিমধ্যেই এনসিপি কাকা-ভাইপোর মধ্যে ফাটল ধরাতে সফল হয়েছে। বিজেপির পালে হাওয়া দিতে দলবল নিয়ে হাজির হয়েছে অজিত। ফলে দল বাঁচাতে শরদ পাওয়ার যে বিজেপির রাজনৈতিক পথ অনুসরণ করবেন না, সেটাই স্বাভাবিক ছিল। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।