শফিকুল ইসলাম, রানাঘাট: অপেক্ষার শেষ। নতুন বিধায়ক হিসেবে শান্তিপুর বেছে নিল ব্রজকিশোর গোস্বামীকে। তিনি ৬৩হাজার ৫৯২ ভোটে জয়লাভ করলেন। শান্তিপুরের জেতা আসনও হাতছাড়া হল বিজেপির। ভোটে হারলেন বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস।
মঙ্গলবার রাজ্যের চার কেন্দ্র দিনহাটা, গোসাবা, শান্তিপুর এবং খড়দা উপনির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়। তাতে সকাল থেকেই শান্তিপুরে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূলের ব্রজকিশোর। বেলা আড়াইটে নাগাদ নির্বাচন কমিশন জানায়, ৬৩ হাজার ৮৯২ ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। ভোট গণনা হয় রানাঘাট কলেজে।
সদগুরু বিজয়কৃষ্ণ সেবা সমিতির সভাপতি ব্রজকিশোর গোস্বামী। এবারই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তাঁর। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাশ করলেন না তিনি। প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমে বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নিলেন।
শান্তিপুরে উপনির্বাচনে বিজেপিকে প্রায় চার গুণ বেশি ভোটে হারাল তৃণমূল। সেখানে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৯০৭ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ৪৭ হাজার ১৫টি ভোট। সিপিএম এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে যথাক্রমে ৩৯ হাজার ৬৭৪ এবং ২ হাজার ৮৩৬ ভোট পড়েছে। নোটায় ভোট গিয়েছে ১ হাজার ৮৭৩ ।
এর আগে, বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ার শান্তিপুর থেকে জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী করে বিজেপি। আসনটি জিতে দলের মুখরক্ষাও করেন জগন্নাথ। সেবার শান্তিপুরে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৭২২ ভোট পড়ে বিজেপির পক্ষে। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৩ হাজার ৮৪৪। বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র ৯ হাজার ৪৪৮টি ভোট পড়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ছিল ১৫ হাজার ৮৮৭।
কিন্তু ভোটে জেতার পর সাংসদ পদ রেখে বিধায়ক পদটি ছেড়ে দেন তিনি। যে কারণে ওই আসনে উপনির্বাচন করায় নির্বাচন কমিশন। তবে মানুষ তাঁদের নিরাশ করবেন না বলে আশাবাদী ছিলেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা জগন্নাথ। বলেছিলেন, আমাদের কাছে প্রার্থী বড় বিষয় নয়। শান্তিপুরের মানুষ শান্তি বজায় রাখতে বিজেপিকে ভোট দেবেন।কিন্তু জগন্নাথের সেই আশাপূরণ হল না। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যেখানে ১৬ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন, মঙ্গলবার তাঁর প্রায় দ্বিগুণ বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হলেন ব্রজকিশোর। প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমেই বিজেপির জেতা আসন ছিনিয়ে নিলেন তিনি। তাঁর সামনে টিকতে পারেননি কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল এবং সিপিএমের সৌমেন মাহাতোও।