পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র—অন্ততঃ তিন সহস্রাধেরও বেশি পুরনো মনুসংহিতায় বিধৃত সেই বৈষম্য নীতি কি চলে আসছে আজও? চন্দ্রযানের এই যুগেও কি তা ‘সমাদৃত’? না হলে অসমের খোদ মুখ্যমন্ত্রী কেন সোশ্যাল মিডিয়ার মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কেন এই ধরনের পোস্ট করবেন? এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা লিখেছেন, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের সেবা করাই শূদ্রদের স্বাভাবিক কর্তব্য। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই পোস্ট দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
অনেকেই বলছেন, গেরুয়া শিবিরের অন্তরের কথাই ফাঁস করে দিয়েছেন ‘হিন্দুত্বের পোস্টারবয়’ হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিরোধীদের বক্তব্য, এমনিতেই হিন্দু-মুসলিম বিভেদের রাজনীতিই পদ্ম শিবিরের রাজনৈতিক ইউএসপি। কিন্তু, তলে তলে তারা যে হিন্দু ধর্মের ভিতরেও বর্ণভেদ প্রথায় বিশ্বাসী তা প্রমাণ হল। যদিও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চেয়েছেন হিমন্ত। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজের পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে এর দায়ও নিজের ঘাড়ে রাখতে চাননি তিনি। সব দায় চাপিয়েছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারদের উপর।