পুবের কলম প্রতিবেদক: হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করে দেবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দলগুলি যেমন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ঠিক তেমনি জাতীয় নির্বাচন কমিশনও হাত গুটিয়ে বসে নেই। একটা একটা করে সব কাজ সেরে ফেলেছেন তাঁরা। রাজ্যে এবার বুথের সংখ্যা ৮০,৪০৩টি। যেখানে ভোটকর্মী লাগবে ৩,৮৫,৯৩৪জন। এর মধ্যে ১,৫৪,৩৭৪জন মহিলা থাকছেন এবার। ইতিমধ্যেই কমিশনের পোর্টালে তাঁদের নাম উঠে গিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই দেওয়া আছে সেই অনুযায়ী প্রত্যেক বিধানসভা পিছু ন্যূনতম একটি বুথ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে দশ শতাংশের কাছাকাছি বুথ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হতে চলেছে। তবে এটা ঠিক যে গ্রামীণ কোন এলাকায় মহিলা দ্বারা পরিচালিত বুথ থাকবে না। শহরাঞ্চল বা মফস্বলে থাকবে এই মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত বুথ। কেবল তাই নয়, যেসমস্ত ভোট কর্মী এবার লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন সে ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ খুব বিশেষভাবেই করা আছে। সেখানে বলা আছে, যেসমস্ত পুরুষ ভোট কর্মীরা রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভোট কর্মী যাবেন অন্য মহকুমায় ভোট কর্মী হিসেবে, কিন্তু যেসমস্ত মহিলা ভোট কর্মীরা রয়েছেন তারা যেখানে কাজ করেন অথবা যে মহকুমার বাসিন্দা সেখানেই তারা ভোটকর্মী হিসেবে কাজে যাবেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা জনিত কারণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে অন্ততপক্ষে মহিলা ভোটকর্মীদের ক্ষেত্রে।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, যদিও এখনো পর্যন্ত তাদের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে কিন্তু তারপরেও আদপে যে সমস্ত নামের তালিকা তৈরি হয়েছে সেখান থেকে শেষ মুহূর্তে বাছাই করে কতজন পুরুষ এবং কতজন মহিলা ভোট কর্মীকে কাজে লাগানো যাবে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এটা ঠিক যে রাজ্যের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেখানে খুব পরিষ্কারভাবেই সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে যে মহিলা ভোট কর্মীরাও কোনরকম ভাবেই রেয়াত পাননি দুষ্কৃতীদের আক্রমণের হাত থেকে, তাই নির্বাচন কমিশন আগে থাকতেই খুব পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে প্রতি বুথেই থাকবে ন্যূনতম দু’জন কেন্দ্র বাহিনী।