মোল্লা জসিমউদ্দিন: সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে উঠে সন্দেশখালি বিষয়ক মামলা। তবে সন্দেশখালি মামলায় হস্তক্ষেপই করল না সুপ্রিম কোর্ট। এদিন এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাতে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করছে না’। আবেদনকারীদের কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পরবর্তীতে আবেদনকারী আলখ অলোক শ্রীবাস্তব মামলা প্রত্যাহার করে নেন। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন আইনজীবী আলখ অলোক শ্রীবাস্তব। তাঁর আরও আবেদন ছিল, ‘যে কোনও রকম রাজনৈতিক প্রভাব এড়াতে এই মামলার শুনানি হোক ভিন রাজ্যে। বিশেষ তদন্তকারী দলকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক’। পাশাপাশি এই ঘটনাকে মণিপুরের বীভৎসতার সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। সোমবার বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহর বেঞ্চে শুনানি চলে।
পরিস্কারভাবে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, ‘ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে। সেখানেই আবেদন করুন মামলাকারী’। আর এর সঙ্গে মণিপুরের ঘটনার তুলনা করা যায় না বলেও মত বিচারপতিদের। সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই অথবা সিট গঠন করে তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলা দায়ের করেন আইনজীবী অলখ অলোক শ্রীবাস্তব। শ্রীবাস্তবের দাবি, ‘মণিপুর কাণ্ডে যেভাবে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, সেভাবেই সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্ত হোক’। সন্দেশখালির ঘটনাকে মণিপুরের জাতি হিংসার সঙ্গে তুলনাও করেন তিনি। কর্তব্যে অবহেলা করেছেন যে পুলিশ আধিকারিকরা তাঁদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি, সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।সোমবার এই মামলার শুনানি চলে বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও অগাস্টিন জর্জের বেঞ্চে। বিচারপতিরা এই মামলা শুনতেই রাজি হননি।
আবেদনকারী আইনজীবীকে বিচারপতিরা বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেছে। আপনি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন না জানিয়ে কেন সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে এলেন? আপনার কোনও দাবি থাকলে তা কলকাতা হাইকোর্টে জানান।’ বিচারপতিদের বক্তব্যের পরে মামলাকারী আইনজীবী অলখ অলোক শ্রীবাস্তব বলেন, ‘সন্দেশখালির ঘটনা অনেকটা মণিপুরেরই মতো। মণিপুরের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল।’ আইনজীবীর এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ডিভিশন বেঞ্চ, ‘মণিপুরের ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালিকে টানবেন না। মণিপুরে কী হয়েছে তা গোটা দেশ জানে। আপনার যা যা দাবি তা হাইকোর্টে জানান। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের অধিকার হাইকোর্টেরও আছে’।