ঢাকা, ২০ আগস্ট: দিনকয়েক আগে ইন্তেকাল করেছেন বিশ্ববরেণ্য আলেম ও মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদি। পিরোজপুরে তার জানাযায় লক্ষ লক্ষ মানুষ শামিল হয়েছিল। তবে ঢাকার বায়তুল মোকাররমে সাঈদির জানাযা করতে দেওয়া হয়নি। দেশটির শাসকদল আওয়ামী লিগের বিরোধী হওয়ার জন্যই সাঈদির জানাযা নিয়ে এটা হয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে। তবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবানা জানাযা হয়েছে। সাঈদির মৃত্যুতে বাংলাদেশে যেমন শোকের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ দেখা গিয়েছে, তেমনই একশ্রেণির মানুষ শোক প্রকাশ করতে গিয়েও পিছিয়ে যাচ্ছেন ভয়ে। কেউ কেউ শোকপ্রকাশ করায় শাসকদলের রোষের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাঈদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করায় অন্তত ৫০ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলিগ। ছাত্রলিগের যেসব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের অনেকের ফেসবুকের পোস্ট এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। এসব পোস্ট থেকে দেখা যায়, অধিকাংশই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির জন্য জান্নাত কামনা করেছেন। কেউ কেউ তাঁকে কোরআনের পাখি বলেও উল্লেখ করেন। এতে অস্বস্তিতে হাসিনার দল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাঈদিকে প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে বর্ণনা করে তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগের কিছু নেতা-কর্মীও। শেখ হাসিনা তার দলের এই আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ বলে জানা গিয়েছে। তবে সামনেই নির্বাচন। তার আগে মানুষের সহানুভূতি কুড়ানোর জন্য হলেও সাঈদিকে কাজে লাগাতে চাইছে শাসক শিবির। তাই ফেসবুক পোস্টে অনেকেই লিখছেন শোকগাথা।
এদিকে ছাত্রলিগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনা ছাত্রলিগের আদর্শিক সংকট দেখাচ্ছে না। যারা যুদ্ধাপরাধীর প্রতি সহানুভূতিশীল তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলিগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স দেখিয়েছি। ছাত্রলীগ ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানের পরিকল্পনা করছে। তার মত, যেসব নেতা আল্লামা সাঈদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ‘ইন্নালিল্লাহি..’ লিখেছেন তারা আসল আওয়ামী লিগার নয়।