পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: জীবন–মরণ লড়াই করার পর মঙ্গলবার রাতে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এসেছেন ৪১ জন শ্রমিক।বেশিরভাগ সময় এমন একটা পরিস্থিতিতে মনোবল হারিয়েই মৃত্যু হয় শ্রমিকদের।মনের সঙ্গে শরীর ও শরীর চর্চার সম্পর্ক নিবিড়। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগ ব্যায়াম মনকে চাঙ্গা রাখে, ইতিবাচক রাখে।সেকথা ভালো মতো জানেন খনির কাজের সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষজন।উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের ক্ষেত্রেও তার বিকল্প হয়নি।
সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে যারা চাঙ্গা রাখার কাজ করতেন তার মধ্যে অন্যতম হলেন বিহারের বাসিন্দা সাবা আহমেদ। শ্রমিক দলের সিনিয়ার ফোরম্যান তিনি।
সাবা আহমেদ সুড়ঙ্গ থেকে বের হওয়ার পর জানিয়েছেন, ভেতরে আটকে থাকার সময় কোনও নেতিবাচক ভাবনা তাদেরকে গ্রাস করত না। একটুও ভয় পেতে দেওয়া হত না শ্রমিকদের।
সাবা বলেন, আমরা সবাই একসঙ্গে ছিলাম। যেমন ভাবে ভাইরা মিলেমিশে থাকে, ঠিক সেভাবেই।খাওয়া দাওয়া করার পর আমরা সুড়ঙ্গের ভেতর হাঁটাহাঁটি করতাম। আমি আমার সহকর্মীদের মর্নিং ওয়াক ও যোগ ব্যায়াম করার জন্য উৎসাহ দিতাম।
অন্যান্য শ্রমিকরাও বলছেন, তাদেরকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার সময় যারা চাঙ্গা রাখত, তারা হলেন সাবা আহমেদ ও গব্বর সিং নেগি।
গব্বর সিং উত্তরাখন্ডের বাসিন্দা। তিনি সুপারভাইজারের দায়িত্বে ছিলেন।এনডিআরএফ–র টিম তাঁকে ট্রেনিং দিচ্ছিল, যাতে তিনি শ্রমিকদের মনোবল বাড়াতে পারেন। তিনিও শ্রমিকদের হাঁটাহাঁটি ও যোগ ব্যায়াম করাতেন। এর আগে তিনি নিজে সুড়ঙ্গ ধসের মুখোমুখি হয়েছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেও শ্রমিকদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করতেন গব্বর সিং।