পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ আরএসএসের পক্ষে যদি সম্ভব হত তাহলে তারা মহাত্মা গান্ধির অবদানকেও একপাশে ছুঁড়ে ফেলেদিত। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসকে নতুন করে লিখত। রাষ্ট্রীয়স্বয়ংসেবক সংঘকে একপ্রকার ধুয়ে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
একদা জনতাদল ইউনাইটেড বিহারে বিজেপির জোটসঙ্গী থাকলেও এখন সেই সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট বেধে এখন বিহারে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ।নীতীশ নিজেও সেই কথা গোপন করেননি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন “আমি তাদের সঙ্গে ছিলাম। তাই আমি একটি শব্দও খরচ করিনি । তবে দয়া করে এটি জেনে রাখুন, আমি কখনই এই সমস্ত অর্থহীন বাজে কথা সমর্থন করিনা”। ক্ষুদ্ধ নীতীশ আরও বলেছেন গত জুনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠকের ডাক দেন। কিন্তু নীতীশ নিজে না গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী তারাকিশোর প্রসাদকে পাঠান। উল্লেখ্য এই মূহুর্তে দিল্লিতে আছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী । ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন এখন দেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছেই পাখির চোখ। নীতীশ মঙ্গলবার বাম-কংগ্রেস সহ সমস্ত আঞ্চলিকদল গুলিকেও একত্রিত হওয়ার আর্জি জানান। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি এবং বাম নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে। বিজেপির সঙ্গে জোটসম্পর্ক ছিন্ন করার পরেই পদ্মশিবিরের বিরোধীতায় সরব হয়েছেন নীতীশ। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব নিয়ে গত ১৮ মাস ধরে মোদি সরকারের যে উদযাপন তাকেও চরম কটাক্ষ করে তিনি বলেন আরএসএস স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশ ছিল? পারলে ওরা আবারও নতুন করে স্বাধীনতার ইতিহাস লিখত। যারা বাপুর খুনি তার জন্য ওদের যত মাথাব্যথা। আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ আরএসএস –বিজেপি।সবটাই ওদের নাটক ছাড়া আরকিছুই নয়।