পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিজ্ঞান মতে জন্মের পর থেকে প্রথম ৫ বছর শিশুর জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর ব্যক্তিত্ব কেমন হবে তাও ঠিক এই বয়সেই। কারণ শিশু যে পরিবেশে বড় হয়, সেখানে বাবা-মা সহ অন্যান্য সকলের আচরণে প্রভাবিত হয় তারা। পরিবারের সদস্যরা বিনয়ী হলে, তারা বিনয় শেখে। অসৎ হলে, অসৎ আচরণ শেখে। কিন্তু এসব কথা তাকে তুলে গর্ভাবস্থায় শিশুকে সংস্কারী ও দেশভক্ত গড়ে তুলতে মাঠে নেমেছে আরএসএস। রবিবার থেকে দেশজুড়ে ‘গর্ভসংস্কার’ প্রকল্প চালু করবে আরএসএস-র শাখা সংগঠন সম্বর্ধিনী ন্যাস।
এই সংগঠনের এক কর্মকর্তার মতে, গোটা দেশকে তারা ৫ টি অঞ্চলে ভাগ করেছেন। প্রতি ভাগে ১০ জন করে ডাক্তার থাকবেন। এই ডাক্তারদের প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকার ২০ জন গর্ভবতীর ‘গর্ভসংস্কার’ করবেন।
সেখানে ডাক্তাররা শেখাবেন, কিভাবে গীতা ও রামায়ণ পড়ে ‘সংস্কারী’ ও ‘দেশভক্ত’ সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব। গর্ভাবস্থায় সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণ করলে তা কিভাবে শিশুর মস্তিস্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তাও শেখানো হবে। এছাড়াও যোগ ব্যায়াম শেখানো হবে, যাতে সিজারের বদলে নর্মাল ডেলিভারির মাধ্যেমেই শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়। শিশুর বয়স দু’বছর হওয়া পর্যন্ত চলবে এই প্রশিক্ষণ।
আরএসএস-র ওই শাখা সংগঠনের মতে, ‘ভারত নির্মানে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প। তাঁদের মতে, যেহেতু গর্ভে আসার চার মাস পর থেকেই শিশু শুনতে শুরু করে, তাই ডাক্তাররা শিশুর সঙ্গে কথা বলারও প্রশিক্ষণ দেবেন অভিভাবকদের।
শুধু কি কথা বলা? যথারীতি গর্ভজাত শিশুর সঙ্গে গল্প করবেন তার বাবা-মা। বাবা-মা শিশুকে তাদের পরিবারের সদস্য, তার দেশ,রাজ্যের কথা শোনাবেন। এর পাশাপাশি ভারতের বেশ কিছু মহান ব্যক্তিত্বদের গল্পও শোনানো হবে তাদের। আরএসএস-র শাখা সংগঠন সম্বর্ধিনী ন্যাস বিশ্বাস করে, চার মাসের গর্ভের শিশু মহান ব্যক্তিত্বদের গল্প শুনতে পাবে এবং ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় তারাও ওই মহান ব্যাক্তিত্বদের বিবেক নিয়েই জন্মাবে। এই প্রকল্পের জেরেই সংস্কারী ও দেশভক্ত হবে শিশু।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে রবিবার এই অবৈজ্ঞানিক অনুষ্ঠানের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন।
জন্মের আগে থেকেই শিশুকে হিন্দুত্ববাদের আওতায় আনতে এমন কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিফহাল মহল।