পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে বাড়ল কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। এর পাশাপাশি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবেনা লোকাল ট্রেন। উল্লেখ্য গত ১৬ মে থেকে রাজ্যে বন্ধ আছে শহরতলীর লাইফলাইন লোকাল ট্রেন। স্টাফ স্পেশাল আগের মত চালু থাকলেও ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধই থাকছে লোকাল ট্রেন।
আপাতত রাজ্যে করোনা সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পড়েছে। ৫০০ থেকে ৮০০ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে দৈনিক সংক্রমণ।
এমতবস্থায় আজ বুধবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বিধিনিষেধ। রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জারি থাকবে নাইট কার্ফু।
এক নজরে বিধিনিষেধ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্তঃ
স্কুল, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
রাজ্যের মধ্যে বাস, অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব, ট্রাম এবং জলপরিবহন চালু থাকবে। সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী উঠতে পারবেন। চালক এবং কর্মীদের টিকা নিতে হবে।
লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে।
সাধারণ যাত্রীদের জন্য সপ্তাহে পাঁচদিন মেট্রো চলাচল করবে। শনিবার এবং রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা।
সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমণ এবং ব্যায়ামের জন্য পার্ক খোলা থাকবে। শুধুমাত্র টিকাপ্রাপ্তরা ঢুকতে পারবেন।
আগে সব দোকান এবং বাজার, দোকান যেমন খোলা হত, তেমনভাবেই খোলা যাবে। অর্থাৎ সাধারণ সময়েই দোকান রাখা যাবে।
এবার থেকে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৪ টে পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা রাখা যাবে।
আগে যেমন খোলা থাকত, সেই সময় হোটেল, শপিং মল এবং ক্লাবের রেস্তোরাঁ ও পানশালা খোলা যাবে। তবে রাত আটটার পর রেস্তোরাঁ ও পানশালা খুলে রাখা যাবে না।
শপিং মল এবং মার্কেট কমপ্লেক্সের খুচরো দোকান সাধারণ সময় যেমন খোলা থাকত, তেমনই খোলা রাখা যাবে। তবে ৫০ শতাংশ লোক থাকবে। একই সময় সর্বাধিক ৫০ শতাংশ ক্রেতা বা মানুষ ঢুকতে পারবেন।
সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা এবং বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জিম খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।
সাধারণ সময়মতো সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবেন।
তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র ও সেই সংক্রান্ত সহায়ক ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে কর্মীদের করোনাভাইরাস টিকা নিতে হবে। মেনে চলতে হবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি। একই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে কারখানা এবং মিলের ক্ষেত্রে।
৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ স্মৃতিস্তম্ভ গুলিতে প্রবেশ করা যাবে।