পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিচার চেয়ে আদালত চত্বরেই নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ধর্ষিতা তরুণী। শুক্রবার ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় আদালত চত্বরেই ঘটল এই ঘটনা। এক পুলিশ কর্মী তাকে উদ্ধার করে। অপর দিকে আদালতের মধ্যেই বিচারকের সামনে ছুরি ধরে খুনের হুমকি দেয় এক ব্যক্তি। এক রোহমর্ষক অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকল আদালত চত্বর।
জানা গিয়েছে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবতী বার বার ধর্ষণের শিকার।মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আদালতের মধ্যেই নির্যাতিতা চরম সিদ্ধান্ত বেছে নেন। বেরহামপুরে বিচারবিভাগীয় জেলা আদালতে এই ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কনস্টেবল রেশমি রঞ্জন দাস সেই সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। নির্যাতিতার শরীর সেই সময় কেরোসিনে ভেজা অবস্থায় ছিল।
এই ঘটনায় নির্যাতিতাকে সাময়িকভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। সেই সময় নির্যাতিতা বিএন পুর পুলিশ স্টেশনে জেরায় জানান, বার বার তাকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে বিপর্সস্ত। নিরুপায় হয়ে তিনি কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের অক্টোবরে তিনি প্রথম ধর্ষণের শিকার হন। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পরে অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত হয়ে জেল থেকে বের হয়ে ফের তার ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায় ১৪ নভেম্বর। ফের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতিতার অভিযোগ তাকে ধর্ষণ করার সময় অভিযুক্তের মা সেই ঘর পাহারা দিচ্ছিলেন।
পুলিশকে ওই নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, তার স্বামী কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে থাকেন। তিনি সেখান থেকে টাকা পাঠাতেন অভিযুক্তের কাছে। কারণ অভিযুক্ত হল তার স্বামীর বন্ধু।
এর পর গত সোমবার জেলা দায়রা বিচারক প্রজ্ঞা পারমিতাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় আদালতের মধ্যেই। বিচারকের সামনে ছুরি ধরে এই খুনের হুমকি দেয় ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। অভিযুক্তের নামে চারটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আইনজীবীরা বিচারককে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। নির্যাতিতার ঘটনার সঙ্গে হুমকির ঘটনার কোনও মিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।