পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের অস্থিবিসর্জন করলেন তাঁর দুই কন্যা। শনিবার গঙ্গার ‘হর কি পৌরি’ ঘাটে এই অস্থি বিসর্জন দেওয়া হল। রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতের অস্থি বিসর্জন দেওয়া হল একই ঘাটে। শুক্রবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের ব্রার স্কোয়ার শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বিপিন রাওয়াত ও মধুলিকা রাওয়াতের। কন্যা ব্রার স্কোয়ার শ্মশানে হিন্দু প্রথা মেনে মুখাগ্নি করেন রাওতের দুই কন্যা কৃত্তিকা ও তারিণী।
বিপিন রাওয়াতের শ্যালক ‘যশ বর্ধন সিং’ জানিয়েছেন ‘খুব ভোরেই ‘কলস’ নিয়ে তাঁরা গঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেখানেই বাবা-মায়ের অস্থি বিসর্জন করেন রাওয়াতের দুই কন্যা।
অস্থি বিসর্জন অনুষ্ঠানে রাওয়াত পরিবারে পাশে ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।
দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকাকে একই চিতায় পাশাপাশি রাখা হয়েছিল। প্রোটোকল অনুসারে জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে ১৭টি তোপধ্বনির মাধ্যমে অন্তিম বিদায় জানানো হয়। শেষকৃত্য যখন সম্পন্ন হয় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর ৮০০ জন কর্মী।
দিল্লির রাস্তায় ছিল সাধারণ মানুষের ঢল। সকলের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। স্লোগান ছিল বিপিন রাওয়াত ‘অমর রহে।’ শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার আগে শ্মশানেই রাওয়াত দম্পতিকে শেষ শ্রদ্ধা জানা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
তার আগে বিপিন রাওয়াত দম্পতির দেহ রাখা ছিল দিল্লির কামরাজ মার্গে তাদের বাসভবনে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানায় দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেই সঙ্গে তাঁদের শ্রদ্ধা জানায় সেনা ও সাধারণ মানুষ। দুপুর ২ টো নাগাদ একটি ফুলে ঢাকা শববাহী গাড়ি করে দুজনের মরদেহ শ্মশানের উদ্দেশে যাত্রা করে।
একই শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়ে চপার দুর্ঘটনায় নিহত সেনা কর্তা ও বিপিন রওয়াতের দীর্ঘ দিনের সঙ্গী ব্রিগেডিয়ার লাখিন্দর সিং লিডারের।
ওয়েলিংটন থেকে সুলুর হয়ে দিল্লিতে মরদেহ আসার পর, পালাম এয়ারবাসে বিপিন রাওয়াত সহ মোট ১৩ জনকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত তাঁদের সকলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।