পুবের কলম প্রতিবেদক: এবার থেকে চোখের মণি স্ক্যান করার পরেই মিলবে রেশন৷ গ্রাহকের চোখের মণি স্ক্যান করা হবে ‘আইরিশ স্ক্যানারে’৷ জানা গিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি রেশন বণ্টনের ক্ষেত্রে চালু হতে চলেছে এই নতুন নিয়ম৷ চোখের মণি স্ক্যান করার পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ‘আসল’ গ্রাহক প্রমাণিত হলে, তবেই তাঁর হাতে চাল, ডাল, গম তুলে দেবেন রেশন দোকানের কর্মীরা৷ কবে থেকে চালু হচ্ছে এই নতুন নিয়ম?
রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ হয়েছে। রেশন কার্ডের ডিজিটাইজেশনের পরে রেশন বিতরণের ক্ষেত্রে চালু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি৷ তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে, সেই আঙুলের ছাপও মিলছে না সব সময়৷ অতএব, রেশন নিতে আসা ব্যক্তিই প্রকৃত দাবিদার কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে৷ সেই কারণে এবার বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র৷
খাদ্য দফতরের কর্তারা বলছেন, আধারের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযুক্তি হলেও সবসময় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বা আঙুলের ছাপ দিয়েই রেশন তুলতে হয়, এমনটা নয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আঙুলের ছাপ মেলে না। আঙুলে কোনও দাগ থাকলে সমস্যা হয়৷ বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তো বেশির ভাগ সময়েই আঙুলের ছাপ মেলে না।
এই সমস্যা মেটানোর জন্যে রয়েছে দু’টি বিকল্প ব্যবস্থা। প্রথমত, আধারের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি পাঠানো হয়। সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে চিহ্নিত করা হয় গ্রাহককে। পরপর তিন বার পাসওয়ার্ড পাঠানোর পরও যদি লেনদেন সম্ভব না হয়, তাহলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আধারের মাধ্যমে রেশন দেওয়া হয় গ্রাহককে। তবে, আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এভাবে দুর্নীতির একটা রাস্তা খোলাই থাকে।
সূত্রের খবর, রেশন সংক্রান্ত দুর্নীতি আটকাতে তাই বিকল্প ব্যবস্থা করছে খাদ্য দফতর। আঙুলের ছাপ না মিললেও, সরকারের ডেটাবেসে থাকা চোখের মণির ছবির সঙ্গে নির্দিষ্ট গ্রাহকের চোখের মণির ছবি সবসময় মিলে যায়। এবার তাই চোখের মণি স্ক্যান করে মিলিয়েই রেশন দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেই মর্মে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে যাবতীয় রেশন দোকানে৷ তবে ঠিক কবে থেকে বিষয়টি শুরু হবে, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি৷
(Valium)