দোলযাত্রা হোক কিংবা হোলি। রঙের এই উৎসবে মেতে উঠেছেন অনেকে। কিন্তু, কোনও রং কিংবা আবীর যদি ঢুকে যায় চোখের মধ্যে, তা হলে কি বেড়ে যেতে পারে বিপদ? এই অবস্থায় কী করণীয়, এই বিষয়ে রিজিওন্যাল ইনস্টিটিউট অফ অফথ্যালমোলজি (আরআইও), কলকাতার চিকিৎসক, অধ্যাপক সলিলকুমার মণ্ডলের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পুবের কলম-এর প্রতিবেদক বিশ্বজিৎ ঘোষ।
প্রশ্ন: চোখের মধ্যে রং কিংবা আবীর ঢুকে গেলে কী করণীয়?
উত্তর: প্রথমেই চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে পানীয় জল দিয়ে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জল দিয়ে এর পর বারে বারে অনেকটা সময় ধরে চোখ ধুয়ে নিতে হবে। তা হলে অনেকটা রক্ষা মিলবে। রং কিংবা আবীরের কোনও কণা যদি চোখে থেকে যায়, তা হলে সেটা সাবধানে বের করতে হবে। এর পরেও যদি সমস্যা থেকে যায়, তা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন: চোখের মধ্যে রং কিংবা আবীর ঢুকে গেলে বিপদ কি বেড়ে যেতে পারে?
উত্তর: রং হোক কিংবা আবীর, সব সময় চোখের সুরক্ষার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।রং কিংবা আবীর চোখের মধ্যে ঢুকে গেলে, এটা কনজাংটিভাইটাস-এর কারণও হয়ে উঠতে পারে। অন্য কোনও ইনফেকশনও ঘটে যেতে পারে। তবে, বিপদ আরও বেড়ে যেতে পারে যদি আইবল, কর্নিয়ায় ইনজুরি হয়ে যায়। অনেক সময় ইনজুরির কারণে চোখ ফুটো হয়ে যেতে পারে। হয়তো কেউ রং ভর্তি বেলুন ছুঁড়ে মারলেন কাউকে। এটা যদি চোখে আঘাত করে, তা হলে অনেক বিপদ ঘটে যেতে পারে, চোখের লেন্সেও ক্ষতি হতে পারে। কেরাটাইটিস হয়ে গেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন: তা হলে উপায়…? কী বলবেন?
উত্তর: জোর করে কাউকে রং মাখানো যাবে না। কারও মুখে অবাঞ্ছিত কোন কোনও রং মাখাবেন না, এটা স্কিন অ্যালার্জির কারণ-ও হয়ে উঠতে পারে। রং নিশ্চয়ই খেলবেন। তবে, সেই সব রঙের ব্যবহার করা উচিত, যে সব রঙের থেকে কোনও অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হবে না। কোনও রাসায়নিক মিশ্রিত রঙের ব্যবহারে বিপদ বেড়ে যেতে পারে, দেখা দিতে পারে ত্বকের সমস্যা। তবে, যে ধরনের রং হোক না কেন, চোখের ভিতরে গেলে সেটা ক্ষতিকর। কারও রং খেলা যেন অন্য কারও কাছে কোনও ক্ষতির কারণ না হয়ে ওঠে। কেউ রং মাখতে না চাইলে তাঁকে জোর করে রং দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। মুখেও রং না মাখানোই ভালো, কারণ সেই রং কোনও কারণে চোখের মধ্যে চলে গেলে উৎসবের আনন্দ দুঃখের হয়ে উঠতে পারে।