দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: সারা রাজ্যের মধ্যে রামপুরহাট আই আর ডি বি বা সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ক লিমিটেড প্রথম স্থান দখল করলো। কৃষি, ব্যবসা, ক্ষুদ্র উদ্যোগকে লোন দেওয়া ও আদায় করে বিকল্প অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অডিট রিপোর্ট বা প্রগ্রেস রিপোর্টে তা উঠে এসেছে। মোট একশোর মধ্যে চুরানব্বই পেয়ে রাজ্যের শীর্ষে এই ব্যাঙ্ক। বর্তমানে রামপুরহাট মহকুমার রামপুরহাট এক, দুই ব্লক, নলহাটি এক ও দুই ব্লক এবং মুরারই এক ও দুই সহ ময়ুরেশ্বর এক এবং দুই ব্লকের মোট এগারো হাজার ষোলো জন ঋণ গ্রহিতা।
রবিবার ছিল ব্যাঙ্কের বার্ষিক সভা। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেনরামপুরহাট সমবায় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ক লি: এর চেয়ারম্যান ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ভাইস চেয়ারম্যান আবু জাহের রাণা মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক এন রহমান এবং কৃষ্ণকান্ত সরকার সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা।
চেয়ারম্যান ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৭ সালে এই সমবায় ব্যাঙ্কে দায়িত্বে আসার পর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রেরণায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে এই সমবায় ব্যাঙ্ক ঘুরে দাড়িয়েছে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুত পাঁচ কোটির মধ্যে দেড় কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে পেয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য পনেরো লক্ষ চাওয়া হয়েছে। সব থেকে বড়ো কথা অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে এই ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ভয় নেই। পাঁচ বছরে 1.5 শতাংশ ঘাটতি কমেছে। এন পি এ অর্থাৎ ব্যাঙ্কের নন পারফর্মিং এ্যাসেট বা অনুৎপাদক সম্পদ দশ শতাংশের বেশী কমেছে। লোন মঞ্জুর করার ক্ষমতা বেড়েছে। একশো কোটি টাকা বাজারে খাটছে। সাত কোটি থেকে বেড়ে আজ ছাব্বিশ কোটি ঋণ কৃষিতে খাটছে। সহজ সরল সুদে কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্প, ব্যবসা সব ক্ষেত্রে এই ব্যাঙ্ক মানুষের কাছে বিকল্প রোজগারের পথ খুলে দিচ্ছে। কর্মীদের প্রমোশন, পেনশন দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক।
জানা গেছে, সর্বোচ্চ লোন আদায়কারীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়কে নগদ পুরষ্কার দেওয়া হয় এদিন। মূলত নাবার্ডের টাকা ডব্লিউ বি স্কার্ডের মাধ্যমে এই সমবায়ে টাকা খাটছে। এর ফলে গাই দুধ বিক্রি, পশুপালন, ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে গ্রামীন অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।