অর্পিতা লাহিড়ীঃ হাওড়া জেলার সাঁত্রাগাছির অন্যতম প্রাচীন লৌকিক উৎসব এই রামপুজো। রাজা রামের নামানুসারে এই এলাকার নাম রামরাজাতলা। ভারতীয় রেলের দক্ষিণ- পূর্ব বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এই রামরাজাতলা।কথিত আছে সাঁত্রাগাছির জমিদার অযোধ্যারাম চৌধুরী রাম-সীতার যুগল মূর্তি দেখেন স্বপ্নে। জমিদার মশাই স্বপ্নাদেশ পান রাম- সীতার যুগল অর্চনার। রাম নবমীর দিন শুরু হয় পুজো ও মেলা। অযোধ্যারাম চৌধুরীর বর্তমান বংশধর , ভোলানাথ চৌধুরীর কাছ থেকে জানা গেল সেই সুপ্রাচীন ইতিহাসের কথা।
পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি মেলা ও পুজো। শ্রাবণ মাসের শেষ রবিবার শোভাযাত্রা সহকারে রাম ভাসান যান।আজ শ্রাবণ মাসের শেষ রবিবার, কোভিড প্রটোকল মেনেই ভাসান হবে রামচন্দ্রের। আবারও দিন গুনতে শুরু করবেন এলাকাবাসী তথা হাওড়া জেলার মানুষ।
সাঁত্রাগাছি গ্রামে সরস্বতী পুজো অনেক জাঁকজমক করে হত। সেই সকল ব্রাহ্মণ বাধা দেন। অনেক আলোচনার পর ঠিক হয় সরস্বতী পুজোর দিনে হবে মূল কাঠামোর বাঁশ কেটে তা পুজো করা হবে। রীতি মেনে আজও স্থানীয় এক বাগান থেকে বাঁশ কাটা হয়। চৈত্র মাসের নবমী তিথিতে শুরু হয় পুজো। পুজো ও মেলা চলে চারমাস।
রাম,সীতা,শিব,ব্রহ্মা,লক্ষন,ভরত,শত্রুঘ্ন,বীভিষণ,বীরহনুমান, জাম্বুবান, সরস্বতী সহ মোট ২৬ টি দেবদেবী আছেন। আছেন বামন অবতার এবং সাবিত্রী সত্যবান। রামরাজাতলার রাম ঠাকুর বৈশিষ্ট্য হল এখানে রাম ঠাকুর এর গোঁফ আছে ,যা পৃথিবীর কোন যায়গায় নেই। এখানে রাম একেবারেই রাজকীয় চেহারায় সপার্ষদ চারমাস বিরাজ করেন।