বিশেষ প্রতিবেদন: রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের পবিত্র রমযান মাস শুরু হতে আর ২ মাসেরও কম সময় বাকি। এই মাসের মতো ফযীলতের মাস আর নেই। এ মাসেই নাযিল হয়েছিল জীবন বিধান পবিত্র আল-কুরআন। মানবজাতির হেদায়াতের জন্য সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশী গ্রন্থ। মানব জাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত হল কুরআন মাজিদ। বিশ্বের প্রত্যেক মুসলিমের কাছেই সিয়াম সাধনা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মশুদ্ধির মাস রমযান। আর রমযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল রোযা। প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্তে এই রোযার সময় হয় ভিন্ন। এটি হয় গোলার্ধ বিশেষে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জোতির্বিদ্যা সোসাইটির ২০২৪ সালের হিজরি ক্যালেন্ডার থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১১ মার্চ থেকে রোযা শুরু হতে পারে। এ বছর বিশ্বে সেহরি থেকে ইফতারের সময়কাল হবে সর্বনিম্ন ১২ ঘণ্টা ও সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টার। জানা গিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, স্কটল্যান্ড ও স্পেনে রোযার সময় হবে ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে রোযা কম সময়ের হবে। এসব অঞ্চলের মানুষ ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা রোযা রাখবেন। দেশগুলি হল, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, কেনিয়া, পাকিস্তান, চিলি ও নিউজিল্যান্ড। মধ্যপ্রাচ্য এবং গালফ অঞ্চলের মুসল্লিরা এবছর ১৩ থেকে ১৫ ঘণ্টা রোযা রাখবেন। তবে স্থানভেদে এটি ভিন্ন ভিন্ন হবে। প্রতিবছরই রমযান মাস ১২ দিন করে এগিয়ে আসে। মূলত এটি হয় ইসলামি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের জন্য যা হিজরি ক্যালেন্ডার নামেও পরিচিত।