পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ১৯৮৫ সালের পর থেকে প্রতি ৫ বছর অন্তর পালাবদল হয়ে চলেছে মরু রাজ্য রাজস্থানে। এবারও কি তার পুনরাবৃত্তি হবে? সেই প্রশ্ন নিয়েই শনিবার রাজস্থানে চলছে ভোটগ্রহণ। উঠছে আরও কিছু প্রশ্ন।গেহলট–পাইলট দ্বন্দ্বের ফল কি ভুগতে হবে কংগ্রেসকে? আর পালাবদল হলে রাজ্যে এবার ক্ষমতায় আসার কথা বিজেপির। সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ৩ ডিসেম্বর। ওই দিনই আবার মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনেরও ফল ঘোষণা হবে।
শনিবার ২০০ আসনের মধ্যে ১৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। ভোট হচ্ছে এক দফাতেই। ম্যাজিক ফিগার ১০১।
করণপুর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী গুরমিত সিং কুনুরের মৃত্যুর কারণে এই আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। এদিন ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ভাগ্য নির্ধারণ হবে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, শচীন পাইলট, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ও সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের মতো হেভিওয়েটদের। লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে মূলত কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও লড়াইয়ে রয়েছে আম-আদমি পার্টি, বসপাও।
কয়েকটি জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বিজেপি পেতে পারে প্রায় ১১৪-১২৪ টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৬৭-৭৭টি আসন। নির্দল এবং অন্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে ৫-১৩টি আসন। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে রাজস্থানের ২০০টি আসনের মধ্যে ১০০টিতে জয়ী হয় কংগ্রেস। জোটসঙ্গী আরএলডি পায় একটি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ৭৩টি আসন। তা ছাড়া, বিএসপি ৬, আরএলপি ৩, বিটিপি ২, সিপিএম ২ এবং নির্দল প্রার্থীরা ১৩টি কেন্দ্রে জয়ী হন।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ভোটপ্রচারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে ২৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিমা, উজ্জ্বলা প্রকল্পে সুবিধাপ্রাপ্তদের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৫০০ টাকার মধ্যে রাখা, মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে স্মার্টফোন দেওয়া হবে। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোটের হার ৫৬ শতাংশ। ভোটের মাঝে পালি জেলার সুমেরপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক পোলিং এজেন্টের। এদিকে, ভোটগ্রণের ঠিক আগের দিন বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির এক শীর্ষনেতা তাঁকে জানিয়ে ছিলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত জিতলে তা নিয়ে জোর প্রচার করা হবে। হোর্ডিংয়ে ইন্ডিয়া টিমের সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ছবি দিয়ে গোটা রাজ্য মুড়ে দেওয়া হবে। সেই হোর্ডিংয়ের ছবিও বিজেপি নেতা মোবাইল ফোনে তাঁকে দেখান বলেও দাবি ওই কংগ্রেস নেত্রীর।