পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘মোদি’ পদবি বিতর্কে একের পর এক ধাক্কা খেয়ে চলেছেন রাহুল গান্ধি। সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে তার। এর পরে রাহুলকে সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ সেই মতো নিজের সরকারি বাংলো খালি করে বেরিয়ে এলেন রাহুল। ১২ তুঘলক লেনের সেই সরকারি আবাসন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির সরকারি আবাসন থাকছে না। বাংলো ছেড়ে মা সোনিয়া গান্ধি বাসভবন ১০ জনপথে চলে এলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে বিতর্ক মামলায় বড়সড় ধাক্কা রাহুল গান্ধির। দুবছর সাজায় স্থগিতাদেশ আর্জি খারিজ করে দিল সুরাট আদালত। নিম্ন আদালত এই রায় খারিজ করার ফলে এবার হাই কোর্টে আবেদন জানাতে পারবেন রাহুল গান্ধি।
অর্থাৎ মোদি পদবি নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জেরে সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে দু’বছরের জেলের সাজা দিয়েছিল। সেই সাজাই বহাল রাখল সুরাটের দায়রা আদালত।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, আপাতত ১০ জনপথেই রাহুল তাঁর ঠিকানা করছেন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁর অফিস কর্মীরা, সবাই ১০ জনপথ থেকে কাজ করবেন। সরকারি বাসস্থানের চাবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্য লোকসভার হাউজিং কমিটির কাছে সম্ভবত সোমবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, শনিবার ও রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে বাড়ি ছেড়ে দিলেও চাবি হয়তো সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।
‘মোদি’ পদবি মামলায় সুরাট আদালতের রায়ে দুই বছরের জেল হওয়ার পরদিনই লোকসভা সচিবালয় রাহুলের সদস্যপদ খারিজ করে দেয়। তার পরের দিন চিঠি দিয়ে জানানো হয়, এক মাসের মধ্যে রাহুলকে সরকারি বাংলো খালি করে দিতে হবে। নির্দেশ মেনে রাহুলও জানিয়ে দেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা করবেন। কিছুদিন ধরেই ধীরে ধীরে ১২, তুঘলক লেনের বাংলো থেকে তিনি ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ১০ জনপথে নিয়ে যান। শনিবার সকালে বোন প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে দুবার তুঘলক লেনের এত বছরের সরকারি ভবনে যান। বেলা তিনটা নাগাদ শেষবারের মতো বেরিয়ে যান বাংলো থেকে। ২০০৫ সালে লোকসভার হাউজিং কমিটিই এই সরকারি বাংলো সাংসদ হিসেবে রাহুলকে বরাদ্দ করেছিল।
কংগ্রেস শনিবার ট্যুইট করে বলে, ‘গোটা দেশই রাহুলের ঘরবাড়ি। দেশবাসীর হৃদয়ে রাহুলের বাস। এই সম্পর্ক চিরন্তন। কারও কাছে তিনি পুত্র, কারও ভাই, কারও কাছে তিনি নেতা। রাহুলের কাছে সবাই তাঁর, তিনিও সবার। সেই জন্যই আজ সবাই বলতে পারছে, রাহুলজি, আমার ঘর আপনারই ঘর।’
কেরালার লোকসভার সদস্য শশী থারুর ট্যুইট করে বলেন, ‘নির্দেশ মেনে রাহুল আজ বাড়ি ছেড়ে দিলেন। এই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে, আইনের প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল।’
কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল টুইট করে বলেন, ‘এই সব ছোটখাটো ঘটনা তুচ্ছ। মানুষের জন্য কথা বলতে কিংবা সত্যভাষণের জন্য এই সব ঘটনা আপনার পথে কোনও রকম বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। গোটা দেশের দরজা আপনার জন্য খোলা রয়েছে।’