পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গোয়ায় ভোটের প্রচারে গিয়ে মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। নির্বাচনী Rally থেকেই দুই ভারত তত্ত্বকে সামনে এনে ফের কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন রাহুল।
সম্প্রতি বিধানসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ‘দুই ভারত তত্ত্বকে’ সামনে রেখে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানান। এই মাসের শুরুতে সংসদে প্রথম ভাষণ দিতে গিয়ে গান্ধি বলেন, ভারতের দুটি দিক রয়েছে। একদিকে রয়েছেন ধনকুবেররা আর অন্যদিকে রয়েছে বেকাররা।
শুক্রবার ভোটের প্রচারে দক্ষিণ গোয়ায় কার্চোরেমে একটি Rally-র আয়োজন করে কংগ্রেস। সেই Rally তে উপস্থিত হয়ে রাহুল গান্ধি বলেন, দেশের ১০০ জনের সম্পত্তি ছাপিয়ে গেছে দেশের ৪০ শতাংশ জনগণের সম্পত্তিকে। ৯০ শতাংশ মুনাফাই যায় ২০ জন ব্যবসায়ীর কাছে।
Rally থেকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, দেশ আরও একবার বিভক্ত হচ্ছে। একদিকে বাছাই করা কিছু ধনী রয়েছেন, আর অন্যদিকে রয়েছে লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি গরিব। আমরা এই রকম ভারত ও গোয়া চাই না। আমরা এই রকম একটা দেশ চাই, যেখানে সকলের জন্য সমান বিচার থাকবে। সকলেই এক রকম সুযোগ পাবে।
দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্বকে সামনে এনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার উগরে দিয়ে রাহুল বলেন, দেশে ক্রমশই বেড়ে চলেছে বেকারত্ব। কর্মসংস্থান তৈরির দায়িত্ব কাদের? দেশ থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়ে গেল কিভাবে?
ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কিন্তু গত আট বছর ধরে দিল্লির মসনদে যে সরকার বসে রয়েছে তারা ছোট ব্যবসা থেকে শিল্পগুলির ওপর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। নোটবন্দী থেকে ত্রুটিপূর্ণ পণ্য ও পরিষেবা কর তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাহুল বলেন, জিএসটি সঠিকভাবে আরোপ করা হয়নি। আর এর জন্য ভুগতে হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের। আর এই কারণে এই ধরনের ব্যবসাগুলি বন্ধ হয়ে গেছে, বা বন্ধের মুখে। বেড়েছে বেকারত্বের সংখ্যা। বন্ধ হয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ।
নির্বাচনী Rally থেকেই রাহুল তীব্র কটাক্ষ বলেন, বিজেপি প্রচারে এসে বলছে কংগ্রেসকে একটাও ভোট না দিতে। কিন্তু লড়াইটাই তো হচ্ছে বিজেপি আর কংগ্রেসের মধ্যে। বাকি যে দলগুলি ভোটের ময়দানে নেমেছে তারা কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না।
এদিন গোয়াবাসীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাহুল বলেন, কংগ্রেস সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় আসবে। তাই আপনারা কেউ একটিও ভোট নষ্ট করবেন না।
১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়া বিধানসভার ভোট। তুঙ্গে প্রচার। তার আগে একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছেটাতে ব্যস্ত সব দলই।