পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ যুদ্ধে মীমাংসা করতে গতকালই বেলারুশে বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি। আর এর পরেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে হামলা চালাতে শুরু করেছে রাশিয়া। ওখতিরকায় হামলা রুশসেনার। রণংদেহী মূর্তিতে এগিয়ে চলেছেন আরও রুশ সেনা। রাজধানী কিয়েভের পথে রাশিয়ার ৪০ মাইল দীর্ঘ এক সেনা বহর দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শত শত ট্যাংক ও কামান।
ইউক্রেনে ৭০ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। ইউক্রেনজুড়ে জারি রেড অ্যালার্ট। খারতান ঘিরে ফেলেছে রাশিয়ান সেনা। কিভে চলছে গোলাবর্ষণ। রাজধানী কিয়েভের মানুষ দুইদিনের কারফিউ শেষ হওয়ার পর কেনাকাটাসহ বিভিন্ন কাজে বাইরে বের হয়। তবে রাতেই আবার গোলা এসে পড়তে থাকায় তাদের আবার পাতাল রেলস্টেশনসহ ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে ছুটতে হয়।
কিভ থেকে দ্রুত ভারতীয়দের সরে যাওয়ার নির্দেশ ভারতসরকারের। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছে কেন্দ্র সরকার। বায়ুসেনাকে সজাগ থাকার নির্দেশ।
রাশিয়ার কামান হামলায় গত রবিবার ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ওখতিরকায় ৭০ জনের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের একজন কর্মকর্তা। সুমি অঞ্চলের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রধান দিমিত্র ঝিভিতস্কি বলেছেন, রুশ হামলায় ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিট ধ্বংস হয়েছে। উদ্ধারকারী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা ধ্বংসস্তূপ দেহ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার বিকেলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা বেলারুশের এক সীমান্ত শহরে আলোচনায় বসেঞ। কিন্তু দুপক্ষের আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি। এর পরেই আরও জোরকদমে আক্রমণ শানাতে তৈরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, বেলারুশে অনুষ্ঠিত দুই পক্ষের আলোচনার বাইরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত রবিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে এক ফোনালাপে যুদ্ধ বন্ধে তিনটি শর্ত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের পশ্চিমা স্বীকৃতি এবং ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা যুদ্ধ শেষ করার পূর্বশর্ত।