মোল্লা জসিমউদ্দিন: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ এর এজলাসে উঠে সন্দেশখালি ঘটনার পরিপেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর মামলা।এদিন আদালত জানিয়েছে, ‘সন্দেশখালি যেতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী’। বিচারপতি এদিন জানান, ‘যে পঞ্চায়েত গুলি ১৪৪-এর আওতার বাইরে সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যেতেই পারেন’। সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারায় স্থগিতাদেশ আদালতের। আগামী ৭ দিনের জন্য বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। একইসঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিলেন বিচারপতি। আদালতের কড়া নির্দেশ, ‘সন্দেশখালিতে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য দিতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী’। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েত যাওয়ার অনুমতি দিল আদালত। তাঁর নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশকে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ বিচারপতির। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আগামী ৩ ঘণ্টার মধ্যে নিজের সফরসূচি রাজ্য পুলিশকে জানাতে হবে। বিচারপতি জানান, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আপাতত ওই এলাকায় মোতায়েন করার নির্দেশ দিচ্ছি না। কিন্তু নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে ফল ভুগতে হবে রাজ্যকে।”
সন্দেশখালির ঘটনায় বসিরহাটের পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। গত১ লা ফেব্রুয়ারি থেকে এখন (সোমবার) পর্যন্ত ক’টি এফআইআর হয়েছে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে পুলিশ সুপারকে। সাতদিন পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ।শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে দাবি করেছেন, ‘গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলনেতা সন্দেশখলি যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে মাঝপথে আটকে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সন্দেশখলির মধ্যে নির্দিষ্ট এলাকায় জরুরি পরিস্থিতি বিচার করে ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। কিন্তু পুলিশ সেই নির্দেশ অমান্য করে সন্দেশখালির বাইরের এলাকাতেও ১৪৪ ধারা জারি করে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয়। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি’।
এর প্রতুত্তরে রাজ্য জানায়, ‘যে কোনও ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের পরিস্থিতিতে এলাকায় ঢুকতে দিতে পুলিশ বাধ্য কিনা, এটাও বিবেচনা করা উচিত। শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালির বাসিন্দা নন। তাই তিনি সেখানে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে মামলা করতে পারেন কিনা? সেটাও বিবেচ্য বিষয়’। সোমবার এই মামলার শুনানি পর্বে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়েছেন, ‘প্রশাসন কোনও জায়গায় বিধিনিষেধ আরোপ করতেই পারে, কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি সেখানে যাবেন না, এটা বলতে পারে না। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালিতে যেতে দিতে হবে’।