ইনামুল হক, বসিরহাটঃ শ্যামলী, চৈতালি, আলো, আকাশ এরা শারীরিক অক্ষমতা দরুণ চলতে পারে না। কেউ আবার চোখে দেখতে পায় না। প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবন সংগ্রামের নতুন পথের দিশারী ওরা। ওদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসিরহাট মহকুমা হ্যান্ডিক্যাপট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সম্পাদক রক্তিম ইসলাম জানালেন, সুন্দরবন থেকে সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৩০০০ প্রতিবন্ধী ভাই বোন রয়েছে। বসিরহাট থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেরুদন্ডী গ্রামে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের জন্য অভিনব আবাসিক কেন্দ্র । এই আবাসিকে একদিকে থাকবে আধুনিক চিকিৎসা, অন্যদিকে কম্পিউটার ডিজিটালের মাধ্যমে তাদেরকে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হবে। সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এই মানুষগুলোর পাশে থেকে এবার সরকারি নথিপত্র থেকে বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম ও আর্থিক স্বনির্ভরতার সহায়তা প্রদান করে থেকে বসিরহাট মহকুমা হ্যান্ডিক্যাপ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার তাদের একদিকে যেমন প্রতিবন্ধী ভাতা চালু করেছে, অন্যদিকে পরিচয় পত্র সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা করেছে। বরাবরই প্রতিবন্ধীদের ৭৫% শারীরিক অক্ষমতা থাকলে তারাই সরকারি স্বীকৃত প্রতিবন্ধী। এবার ৫০% প্রতিবন্ধকতা থাকলে সবাই প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত হবে। সম্ভবত এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। বিশেষ করে ইতিমধ্যে বসিরহাট সংগ্রামপুর শিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে মেরুদন্ডী গ্রামে একটি প্রতিবন্ধীদের থাকার আবাসিক ঘর তৈরি হচ্ছে। যেখানে ১০০০ অসহায় প্রতিবন্ধী থাকতে পারবে। তাদের আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হবে। অন্যদিকে হাতের কাজের জন্য ট্রেনিং দেয়া হবে। যাতে সমাজে অন্য পাঁচটা মানুষের মতো তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে। ইতিমধ্যে একটি অনুষ্ঠানে তাদের চলাফেরার জন্য ট্রাইসাইকেল, ৩০ টা সেলাই মেশিন, ৩৫টা কানের মেশিন,৫টি হুইল চেয়ার দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি ১০০০শীতের কম্বল দেওয়া হয়েছে। এই মহতী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বসিরহাট ১ এর বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য, বসিরহাট মহকুমা হ্যান্ডিক্যাপট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি চৈতালি মন্ডল, সম্পাদক রক্তিম ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবী বারিক বিশ্বাস, বসিরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির পুর্তের কর্মাধক্ষ্য শফিকুল দফাদার, সমাজসেবী মাওলানা রওশান আলম মাযাহিরী সহ বিশিষ্টজনেরা।