পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হায়দরাবাদের শান্তিনগরে কর্ণাটক সরকারের হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্র এবং বয়স্ক নাগরিক সহ শত শত মুসলিম মহিলা বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মহিলাই ছিলেন মাল্লাপল্লী, নামপল্লী, ফার্স্ট ল্যান্সার, টাউলি চৌকি, বোয়েনপল্লী এবং অন্যান্য এলাকার। তারা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, অটো ও দুই চাকার গাড়িতে করে এসেছিলেন। প্রতিবাদ মিছিলটি ছিল নীরব । বয়স্ক মহিলা এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বলেছে, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীরভাবে আঘাত করা হয়েছে, তাই এই প্রতিবাদ। এক বৃদ্ধ মহিলা বলেন, “আমার বয়স ৯০ পেরিয়ে গেছে এবং আমার নাতনি শহরের শীর্ষস্থানীয় মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের একজন সার্জেন। আমি হায়দরাবাদে জন্মেছি, বড় হয়েছি এবং শিক্ষিত হয়েছি। আমি বা আমার সন্তানদের কাউকে হিজাব পরতে নিষেধ করা হয়নি।”
প্রতিবাদকারীদের একজন মহামুনা বেগম বলেন, “মুসকানের ভিডিও দেখে আমার চোখ জলে ভরে গেল। সে একা ,কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে লড়েছে।”
বিক্ষোভকারীরা রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে এবং যান চলাচলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করে।
আরেক প্রতিবাদী ডক্টর আসমা জেহরা বলেন, “এটা শুধুই অসহিষ্ণুতা। একজন ডাক্তার হওয়ার কারণে, আমি আমার জীবদ্দশায় হিজাবের জন্য কখনও কোন বাধার সম্মুখীন হইনি বা এমনকি কোন মন্তব্য শুনিনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাওকে ধন্যবাদ জানাই, যিনি কখনও কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি।ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র সংগঠন আমাদের সমর্থনে রয়েছে।
ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজি ছাত্রী মরিয়ম আহমেদি বলেছেন, “আমরা অন্যান্য ছাত্রদের সাথে নীরব প্রতিবাদ সংগঠিত করব এবং শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে মুসলিম শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করব ।”
মিছিলকারীদের দাবি,মুসলিম ছাত্রীরা কোনও রকম বাধা ছাড়াই হিজাব পরে আসছেন। কলেজে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে যার বলে ছাত্রীরা হিজাব পরতেই পারে। ইউজিসি-র এমন কোনও নিয়ম নেই যে কোনও ছাত্রী হিজাব পরতে পারে না। পাশাপাশি কমিশনেরও পড়ুয়াদের জন্য কোনও ড্রেস কোড নেই। ছাত্রীদের তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অনৈতিক। মুসলিমদের ধর্মীয় সংস্কৃতিতে মেয়েদের হিজার অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ। সংবিধানেও এর রক্ষাকবজ রয়েছে। যে কলেজ থেকে এই বিতর্ক সেখানে কর্তৃপক্ষ হিজাবে বাধা দিয়েছে বিধায়ক হালাদি শ্রীনিবাস শেট্টির নির্দেশে।