পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নিউজ ক্লিক পোর্টালের এক কর্মীর খোঁজে সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির ৩৬ নম্বর পণ্ডিত রবিশঙ্কর শুক্ল লেনের বাড়িতে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। নিউ ইয়র্ক টাইমসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল ওই নিউজ পোর্টালের চিনের টাকা ঢুকছে। সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন, ‘পুলিশ আমার বাড়িতে এসেছিল। কারণ আমারই এক সঙ্গী আমার এখানেই থাকেন। তাঁর ছেলে নিউজ ক্লিকে কাজ করেন। পুলিশ তাঁকে জেরা করতে এসেছিল। তারা ল্যাপটপ আর ফোন নিয়ে গিয়েছে। তারা কীসের তদন্ত চালাচ্ছে? কেউ জানে না।’ যদি এটা মিডিয়াকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় তবে এর পেছনের কারণটা ঠিক কী তা গোটা দেশের জানা দরকার। মন্তব্য ইয়েচুরির। তিনি আরও বলেন, ‘এই সব করে পুলিশ মিডিয়ার কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা করছে। এর কারণ আসলে কী তা দেশের মানুষের জানা দরকার।’
৩৬ নম্বর পণ্ডিত রবিশঙ্কর শুক্ল লেনের বাড়িটি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের জন্য বরাদ্দ। সাধারণত কৃষকসভা এবং এসএফআইয়ের কর্মীরা থাকার জন্য বাড়িটি ব্যবহার করেন। এই বাড়িরই একটি তলে থাকেন নিউজ ক্লিক-এর এক সাংবাদিক। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির দফতরে কাজ করেন যুবকের বাবা শ্রীনারায়ণ। সেই সুবাদেই ওই যুবক পণ্ডিত রবিশঙ্কর লেনের এই বাড়িতে থাকেন। তার খোঁজেই ইয়েচুরির বাড়িতে এসেছিল পুলিশ। তেমনটাই জানা গিয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি, জাতিভিত্তিক জনসংখ্যার রিপোর্ট বিহারে প্রকাশিত হয়েছে। সেটা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে গিয়ে এসব করা হল। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ‘কেউ যদি কিছু ভুল করে থাকে, তাহলে তদন্ত তো করতে হবেই। আমি কোনও সাফাই দিচ্ছি না, তবে তদন্তকারী সংস্থার পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।’
সূত্রের খবর, সোমবার এই তল্লাশি নিয়ে স্পেশাল সেলের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছিলেন। কী ভাবে, কোথায়, কখন অভিযান চালানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। পরিকল্পনামতো মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকেই দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরগাঁও এবং মুম্বইয়ে একশোটিরও বেশি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছিল ৫০০ পুলিশকর্মী।