পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আজ দ্বাদশ দিন৷ দু’পক্ষের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২ বার শান্তি বৈঠক হলেও ইউক্রেনের উপরে লাগাতার গোলা বর্ষণ জারি রেখেছে রুশ সেনা। সোমবার সকালেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বললেন মোদি। ৫০ মিনিট ধরে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ।
জানা গিয়েছে, ৫০ মিনিটের কথাবার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন পুতিন। পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার করা নিয়েও পুতিন আশ্বাসবাণী দেন বলে জানা গিয়েছে।
আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের যাতে দ্রুত বের করে নিয়ে আসা যায়, সেই জন্য পুতিনের কাছে ‘সেফ প্যাসেজ’ সুনিশ্চিত করারও দাবি জানান মোদি । ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের (Russia Ukraine War) পর থেকেই ভারতীয় পড়ুয়া সহ নাগরিকদের ‘ইভ্যাকুয়েশন’ প্রক্রিয়ায় জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আটকে থাকা ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার নিয়ে একটা দোষারোপের পালাও চলছে। রাশিয়ার দাবি, আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ‘মানব বর্ম’ (Human shield) হিসেবে ব্যবহার করছে ইউক্রেন। যে দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, যুদ্ধ বিরতি (Ceasefire) ঘোষণা করেও বার বার করে তা লঙ্ঘন করছে রাশিয়া। ফলে পড়ুয়াদের ‘সেফ প্যাসেজ’ দেওয়া যাচ্ছে না।
Prime Minister @narendramodi spoke on the phone to Russian President Putin. The two leaders discussed the evolving situation in Ukraine. President Putin briefed Prime Minister Modi on the status of negotiations between the Ukrainian and Russian teams. pic.twitter.com/KYgl4FUS1G
— PB-SHABD (@PBSHABD) March 7, 2022
ইউক্রেনকে ধরাশায়ী করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে রাশিয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক দিনে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি লক্ষ্য করে ৬০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক শীর্ষকর্তার মতে, রাশিয়া তাঁর সামরিক শক্তির ৯৫ ভাগ ইতিমধ্যে ইউক্রেনে প্রয়োগ করেছে। মার্চের প্রথম দিনই পরিকল্পিত ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কিভের টিভি টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয় রুশ সেনা।