পুবের কলম প্রতিবেদক, শাসন: সারা রাজ্যের সঙ্গে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসত দুই ব্লকে এলাকায়ও বসেছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। শুক্রবার বারাসত দুই ব্লকের কীর্তিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ক্যাম্প বসেছিল খড়িবাড়ির চৌমুহা হাই স্কুল ও বাদা সানবেরিয়া প্রাইমারি স্কুলে। এদিন দুই ক্যাম্পেই সময় মতো পৌঁছে গিয়েছিলেন সরকারী আধিকারিকরা। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা গেল এসসি, এসটি ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বাদা সানবেরিয়া প্রাইমারি স্কুলে। সরকারি আধিকারিকরা সময় মতো টেবিলে টেবিলে বসে গেলেও দেখা মিলছিল না গ্রামবাসীদের।
শেষে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে এসে সরকারী পরিষেবা দেওয়ার জন্য মানুষজনকে ডাকতে বাড়িতে বাড়িতে গেলেন জনপ্রতিনিধিরা। এদিন বাদা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে মানুষজনকে ডাকতে পৌঁছান উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের বিদায়ী বোর্ডের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, কীর্তিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃষ্ণা পাত্র, সমাজকর্মী মাহমুদুল হাসান, ছাত্র নেতা বাবাই মুদি, প্রবীর পাত্র প্রমুখ।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে সরকার এতো ফ্লেক্স, ব্যানার ও বিজ্ঞাপনের পিছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করেও গ্রামের সাধারন মানুষজন দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে আসছেন না কেন? রাজ্য সরকার সাধারন মানুষজনের জন্য কিছু করতে চাইলেও কোথাও কি সরকারি আধিকারিকদের গাফিলতি রয়েছে কি? উঠছে সে প্রশ্নও।
যদিও সেই যুক্তি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য একেএম ফারহাদ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁর সমস্ত জনমুখী প্রকল্প মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই দুয়ারে সরকার চলছে। তাই মানুষজনের তেমন খুব একটা চাওয়া পাওয়া নেই। সেই জন্য মানুষজন কম আসছেন। এমন কোনও বাড়ি দেখাতে পারবেন না যে বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁর সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে খড়িবাড়ির কীর্তিপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃষ্ণা পাত্র জানান, পিছিয়ে পড়া এই বাদা সানবেরিয়া গ্রামে আমরা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসিয়েছিলাম। মানুষজন ক্যাম্পে আসছিল না বলে বাড়িতে ডাকতে গেলে অনেকেই বলেছেন কম বেশি সবাই সব প্রকল্পের সুবিধা তারা পাচ্ছেন। অল্প কিছু লোকজনের বাকি ছিল, তারা পরে ক্যাম্পে এসে সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন।