ইনামুল হক, বসিরহাট: বসিরহাটের পানিগোবরা দরবার শরীফের পীরে কামেল ওস্তাদুল হোফফাজ শাহ সুফি আব্দুল আজিজ রহ. এর রুহানি দোওয়াপ্রাপ্ত আজিজিয়া জিয়াউলিয়া বালিকা এতিমখানায় শাদি মোবারক অনুষ্ঠানে চারজন উপযুক্ত কন্যাকে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় বৃহস্পতিবার। নাজাত এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনায় এদিন এতিম কন্যা তাজিনা খাতুন, ফেরদৌসী খাতুন, ইসমোতরা খাতুন ও উম্মে সালমা খাতুনদের সঙ্গে যথাক্রমে মোহাম্মদ শাহিনুর লস্কর, মোহাম্মদ আমিরুল আলি মন্ডল, মোহাম্মদ আল আমিন মন্ডল ও মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ মন্ডলদের শাদী মোবারকে চার হাত এক করে দিয়ে ধোওয়া করেন প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা মাসুম বিল্লাহ সাহেব। উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ইমাম প্রতিনিধি ও আজিজিয়া ফাউন্ডেশন এর সম্পাদক মাওলানা হাসানুজ্জামান সাহেব, মাওলানা আমিনুল আম্বিয়া, মাওলানা তাসিম বিল্লাহ, বিশিষ্ট সমাজসেবী হাজী মোজাম্মেল হক, বিশেষ পৃষ্ঠপোষক হাজী ওজিফার রহমান, বেগমপুর বিবিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিনহাজুল ইসলাম বাবুয়া, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নাসির আলী হালদার হ এতিমখানার কর্মকর্তারা। মাওলানা মাসুম বিল্লাহ সাহেব বলেন, এতিম কন্যাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র সহ উপযুক্ত বয়সে শিক্ষা সমাপনান্তে তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করে থাকে। দাম্পত্য জীবনে সংসার নির্বাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রের সঙ্গে তাদের যেমন নির্বাচন করে দেওয়া হয় তেমনি প্রত্যেক কন্যাকে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে তাদের কর্মোপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। এপর্যন্ত সতেরোটি এতিম কন্যাকে যথোপযুক্ত শিক্ষাদানের পর তাদের শরীয়তি নিয়ম এবং মুসলিম আইন মেনে বিবাহ সম্পাদন করা হয়েছে বলে জানান এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও মাটিয়া থানার মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মাওলানা হাসানুজ্জামান। এদিন প্রত্যেক দম্পতিকে তাদের ঘর গৃহস্থালির খাট, তোষক, বালিশ, টেবিল ফ্যান, ড্রেসিং টেবিল সহ হাত ঘড়ি, কন্যাদের বোরখাসহ অলংকার ইত্যাদি দেওয়া হয়। প্রত্যেক পাত্র-পাত্রীপক্ষের আত্মীয়-স্বজনরাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের যথারীতি মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়। উল্লেখ্য, তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১১০ জন বালিকা আবাসিকভাবে থেকে আধ্যাত্মিক শিক্ষার সঙ্গে আধুনিক শিক্ষা পেয়ে থাকে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী শিল্পপতি মোস্তাক হোসেন এই প্রতিষ্ঠানের পাশে থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।