পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চতুর্থের পরে এবার আসতে চলেছে পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী ১০ নভেম্বর পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ট্রেন চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও মাইসুরুকে সংযুক্ত করবে। সম্প্রতি হিমাচল সফরে গিয়ে চতুর্থ বন্দে ভারতের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার দেশবাসীকে খুশির খবর দিয়ে আসতে পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
সম্প্রতি তৃতীয় ও চতুর্থ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সূচনা হয় গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশ থেকে।
বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের উনা জেলা থেকে ফ্ল্যাগ অফ করে চতুর্থ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তৃতীয় এবং চতুর্থ রেকগুলি চেন্নাইতে অবস্থিত ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে (আইসিএফ) তৈরি করা হয়েছে। প্রথম সংস্করণ থেকে আপগ্রেড করা ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে পারে।
উনা পঞ্জাব সীমান্তবর্তী একটি শিল্প শহর। হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ও এই ট্রেন চালানোর ফলে উপকৃত হবে। পঞ্জাবের কিরাতপুর সাহেব এবং আনন্দপুর সাহেবের মতো শিখ মন্দির এবং মাতা জ্বালা দেবী ও মাতা চিন্তপূর্ণির মতো মন্দিরগুলির সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করবে এই হাইস্পিড ট্রেনটি। চতুর্থ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রায় দিল্লি থেকে চণ্ডীগড়ের মধ্যে ভ্রমণের সময় তিনঘণ্টা ও অন্যদিকে উনা থেকে নয়াদিল্লি ভ্রমণের সময় দুই ঘণ্টা কমে যাবে। এই ট্রেনটির গতিপথ দিল্লি এবং উনার আম্ব আন্দাউরা রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করবে। বুধবার বাদ দিয়ে সপ্তাহের অন্যান্য দিন চলবে। সময় লাগবে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। ট্রেনটি আম্বালা, চণ্ডীগড়, আনন্দপুর সাহেব ও উনা স্টেশনে থামবে।
নতুন বন্দে ভারত ট্রেনগুলি আগের তুলনায় একটি উন্নত সংস্করণ, এটি অনেক হালকা এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ গতি সম্পন্ন ট্রেন। সংঘর্ষ এড়াতে বন্দে ভারত ২.০ ট্রেনে রয়েছে ট্রাফিক অ্যালার্ট অ্যান্ড কোয়ালিশন সতর্কীকরণ সিস্টেম (টিসিএএস)। যার নাম কবচ। এছাড়াও কোচগুলিতে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা আলো, সঙ্গে রয়েছে ব্যাটারি ব্যাক আপ। ট্রেনের বাইরের অংশে চারটি থেকে আটটি ফ্ল্যাটফর্ম-সাইড ক্যামেরা রয়েছে। কোচগুলিতে রয়েছে। যাত্রী-রক্ষী যোগাযোগের সুবিধা, স্বয়ংক্রিয় ভয়েস রেকর্ডিং প্রযুক্তি।
এছাড়াও ভারতীয় রেলওয়ে বন্দে ভারত প্ল্যাটফর্মে উচ্চ-গতির মালবাহী ট্রেন চালু করতে প্রস্তুত রয়েছে, যাতে সময়মতো পণ্যবাহী চালান সরবরাহ করা যায়।