পুবের কলম প্রতিবেদক: লরি, টেম্পোর মত বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে ওভারলোডিং বা অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ রুখতে রাজ্য সরকার কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে। এর ফলে এই খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে জরিমানার পরিমাণ। এই প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত রাজ্য এবং জাতীয় সড়ক ও প্রধান রাস্তাগুলিতে মোটরযান পরিদর্শক ও পুলিশ লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছে। এর ফলে, ওভার লোডিং ও সঠিক কাগজপত্র ছাড়া পণ্য পরিবহণের খাতে জরিমানা আদায়ের হার চলতি আর্থিক বছরে সর্বকালীন রেকর্ড ছোঁবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান, চলতি আর্থিক বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত পরিবহণ দফতর ৫ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি গাড়ি পরীক্ষা করেছে। ওভার লোডিং ও অন্যান্য বিধি ভঙ্গের জন্য জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে, শুধুমাত্র ওভার লোডিংয়ের জন্য ১১ হাজারের বেশি গাড়ির মালিকের কাছ থেকে ৮৮ কোটি টাকার কাছাকাছি জরিমানা আদায় করা হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে এই জরিমানা আদায়ের হার ২০০ কোটি টাকা স্পর্শ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি সর্বকালীন উচ্চ রেকর্ড হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় থেকেই অর্থাৎ, ২০২০-২১ আর্থিক বছর থেকেই নিয়ম না মেনে চলা গাড়ির বিরুদ্ধে নজরদারি ও জরিমানা আদায়ের হার বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে পরিবহন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী। এই বিষয়ে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে পরিবহণ দফতর ৩ লক্ষ ৬৪ হাজারের কিছু বেশি গাড়ি পরীক্ষা করে ৭৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করে। সেখানে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে সাড়ে সাত লক্ষের কাছাকাছি গাড়ি পরীক্ষা করে জরিমানা আদায় হয়েছে ১৬৭ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ২২ হাজারের বেশি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে শুধুমাত্র অতিরিক্ত পণ্য চাপানোর দায়ে। তিনি আরও বলেন, কর না বাড়িয়েও পরিবহণ দফতর আয় বাড়াতে পারে। আমরা সেই পরিকল্পনাই করেছি। মুখ্যমন্ত্রীও এ ব্যাপারে যা করণীয় তা করার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন।