পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অপারেশন লোটাস চললেও আম আদমি পার্টির সদস্যরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। একথা প্রমাণ করার জন্য দিল্লি বিধানসভায় আস্থা ভোটের ডাক দেন স্বয়ং কেজরিওয়াল। সোমবার সেই আস্থাভোটে কেজরি আসলে দেখান আপ বিধায়করা তাঁর পাশেই রয়েছেন। তিনি গোটা দেশকে বোঝাতে চান চেষ্টা সত্ত্বেও সফল হয়নি অপারেশন লোটাস। তাঁর একজন বিধায়ককেও বিজেপি তাদের শিবিরে নিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন আপ সুপ্রিমো।
পদ্মপার্টি যে কোনদিক দিয়ে সিঁধ কাটতে পারে, তা বোঝার আগাম উপায় থাকে না। বিজেপির এই অতর্কিত থাবা থেকে বাঁচতে সব দলই সাবধান থাকছে। একসময়ের দোসর দল শিবসেনাকে আড়াআড়ি ভেঙে পদ্মপার্টি পিছন থেকে যা করেছে, তাতে আহত হয়েছে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ।
এদিন আস্থা অর্জনের পর কেজরিওয়াল বলেন, একের পর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকার ফেলা এখন বিজেপির অন্যতম কাজ। জনকল্যাণে নজর দেওয়ার পরিবর্তে বিজেপির সরকার তার কোটিপতি বন্ধুদের সাহায্য করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। কেজরিওয়াল আরও বলেন,কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পর এবার ঝাড়খণ্ডেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
কেজরির অভিযোগ মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গোয়া মহারাষ্ট্র এবং অসম-সহ সারা দেশে বিভিন্ন রাজ্য সরকার ফেলার জন্য বিজেপি এই পর্যন্ত ২৭৭ জন বিধায়ককে কিনেছে। এখন তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঝাড়খণ্ড সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার মতলবে রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, আবগারি-দুর্নীতি থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই আপ আসলে আস্থা ভোটার ‘নাটক’ করছে। প্রসঙ্গত, ৭০ আসনবিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় আপের ৬২ জন এবং বিজেপির আটজন বিধায়ক রয়েছেন।