পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মাদ্রাসা শিক্ষাকে ‘আধুনিক’ করে তুলতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। অসমের বিজেপি সরকার যেখানে মাদ্রাসা বন্ধ করে দিচ্ছে, সেখানে ইউপি মাদ্রাসাগুলিকে আধুনিক করে তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে সেটা মাদ্রাসা শিক্ষা ও পড়ুয়াদের পক্ষে কতটা স্বাস্থ্যকর, তা সময়ই বলবে। উত্তরপ্রদেশ সরকার এবার নয়া এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে সরকার এবার থেকে শুধু টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট উত্তীর্ণদেরকেই নিয়োগ করা হবে। এর ফলে মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষার মান বাড়বে। গুণসম্পন্ন শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। যোগী আদিত্যনাথ সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে তুলতে এখানে আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। পাঠক্রমে ৮০ শতাংশ আধুনিক শিক্ষা ও ২০ শতাংশ ইসলামি দ্বীনি শিক্ষা থাকছে। হিন্দি, ইংরেজি, বিজ্ঞান, অঙ্ক, সমাজ বিজ্ঞানের উপর বেশি জোর দেওয়া হবে। এই প্রেক্ষিতে এবার শিক্ষক নিয়োগ নীতিতে সংশোধনী আনছে সরকার। নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। সে ক্ষেত্রে ‘টেট’ পাশ করেছেন এমন প্রার্থীরাই মাদ্রাসার শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে বিএড উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মাদ্রাসার শিক্ষক হতে পারতেন। এবার বিএডের পাশাপাশি উত্তীর্ণ হতে হবে টেট পরীক্ষাতেও। অনেক ক্ষেত্রে মাদ্রাসার পড়ুয়ারাই পরবর্তীতে বিএড করে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতেন। এবার তা হবে না। মাদ্রাসা-উত্তীর্ণদের এতে চাকরি পাওয়া কঠিন হল বলে মনে করছে ওয়াকিফহাল মহল। সে ক্ষেত্রে মাদ্রাসার বাইরে সাধারণ স্কুলে পড়া প্রার্থীরা টেট পাশ করে মাদ্রাসায় শিক্ষকতার বেশি বেশি সুযোগ পাবে।