পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃসেনা অভ্যুত্থান-পরবর্তী সহিংসতার জেরে মায়ানমারে প্রথমবারের মতো বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পায়। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুকির এনএলডি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মায়ানমার সেনা। রাষ্ট্রসংঘের মতে, এরপর দেশটির ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষকে তাদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশজুড়ে দল গঠন করেছে অসামরিক বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষ। তবে জান্তা সরকার তাদের লক্ষ্য করে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে। ফলে গ্রামেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। অসামরিক লোকদের ওপর বিমান হামলা চলছে, এমনকি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও ঘটছে। অভ্যুত্থানের আগেই বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষদের সঙ্গে নতুন করে সহিংসতার ঘটনায় আরও ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার বাস্তুচ্যুত যুক্ত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ বলছে, অভ্যুত্থানের পর সহিংসতার ঘটনায় ১২ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোকের সম্পত্তি জ্বালিয়ে দেওয়া বা নষ্ট করা হয়েছে। বর্ষাকালে আশ্রয়শিবিরে থাকা এসব মানুষের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করছে সংস্থাটি। এদিকে, সহিংসতার জেরে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের স্যাগাইন অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তিন লক্ষ মানুষ। সেখানে জান্তা বাহিনী নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই অঞ্চলের ফোন সার্ভিস, খাবার, ওষুধ ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ বলছে, ওই অঞ্চলগুলোতে জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা প্রয়োজন। কিন্তু সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জান্তা সরকার সেখানে মানবিক সহায়তার প্রস্তাবে রাজি নয়। স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, অভ্যুত্থান,পরবতী সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত ১,৮০০ জন নিহত ও ১৩ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছে জান্তা সরকার