উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: সুন্দরবনে বাঘের হানায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বাঘের হানায় আবারো মৃত্যু হল এক মৎস্যজীবীর।পুলিশ ও স্থানীয় সূএে জানা গেল, কুলতলির মৈপীঠ উপকূল থানার কিশোরী মোহনপুরের শ্রীকান্ত পল্লীর বাসিন্দা শ্রীনিবাস মন্ডল(৫২), গোপাল বেরা ও নকুল মন্ডল সোমবার কিশোরী মোহনপুরের ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে রওনা দেয় কাঁকড়া ধরতে।
মঙ্গলবার দুপুরে নদীতে জঙ্গলের কাছে খাওয়া দাওয়ার পর তিনজনই ঘুমিয়ে পড়ে নৌকাতে, আর সেই সময় তাদের অজান্তেই আচমকা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি বাঘ এসে শ্রীনিবাসের ঘাড়ে আক্রমণ করে। তাঁর দুই সঙ্গী নৌকার বৈঠা নিয়ে বাঘকে আক্রমন করলে বাঘ শ্রীনিবাসকে ফেলে পালায়। তবে ততক্ষনে শ্রীনিবাসের অত্যাধিক রক্ত ক্ষরনে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মৃত অবস্থায় তার সঙ্গীরা তাকে গ্রামে ফিরিয়ে আনে। মৃতার বাড়িতে স্ত্রী দূর্গা মন্ডল ও ১৭ বছরের এক ছেলে অমিত আছে।
বিকল্প কোনো কাজ না থাকায় সংসারের একমাএ উপার্জনকারী শ্রীনিবাস জঙ্গলে গিয়েছিল মাছ ও কাঁকড়া ধরতে। মৃতদেহ কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মৈপিঠ উপকূল থানার পুলিশ।এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।এদিকে বারবার বাঘের কামড়ে মৃত্যুর পরেও গরীব এইসব মৎস্যজীবি পরিবার সরকারি কোন সাহায্য পায় না। তাই এদের দ্রুত ক্ক্ষতি পূরনের দাবি জানালো এপিডিআর।
এপিডিআরের জয়নগর শাখার সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন, এ বছরে এখনো পর্যন্ত ২৪ জন বাঘে আক্রান্ত হল।সরকারি ভাবে এদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।