পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৩তম বিজয় দিবস উদ্যাপিত হল শুক্রবার। এ উপলক্ষে দেশটিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল থেকেই সারাদেশ প্রকম্পিত হয়ে চলেছে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে।
ইরানিরা নিজ নিজ বাড়ির ছাদে ‘আল্লাহু আকবর’ধ্বনি তুলে মহান রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন মসজিদ, রেডিয়ো ও টিভি চ্যানেলেও একই ধ্বনি শোনা গেছে। সেইসঙ্গে একের পর এক আতশবাজির ঝলকানি দেখা যায় আকাশে। তবে করোনার কারণে শুক্রবারের বিজয় শোভাযাত্রা ও মিছিল আয়োজনের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ ছিল। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত শহরগুলিতে পদযাত্রার অনুমতি মেলেনি।
উল্লেখ্য সইয়্যেদ রুহুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ১৯৭৯ সালে দেশটিতে ইসলামি বিপ্লব সফল হয়। একইসঙ্গে অবসান ঘটে পাহলভী রাজবংশের শাসনের। ফলে ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ইরান। পরিবর্তিত শাসনতন্ত্র অনুযায়ী, ইমাম খোমেনি হন ইরানের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও ক্ষমতার অধিকারী। তিনি ১৯৮৯ সালে ইন্তেকাল করেন। এরপর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন আয়াতুল্লাহ সইয়্যেদ আলি খামেনি।
উল্লেখ্য, আয়তনে মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল দেশ ইরানের জনসংখ্যা ৭ কোটি। আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব ইরানকে কোনঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা চালোচ্ছে। বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সবসময় দেশটিকে চাপে ফেলা হচ্ছে। তারপরও ইরান নিজস্ব অবস্থান ধরে রেখেছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা অর্থনীতি থেকে শুরু করে খেলাধুলা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে চলেছে ইরান।
ইরান জানিয়ে রেখেছে, তাদের দেশ আক্রান্ত হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমেরিকার প্রধান মিত্র ইসরাইলকে মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়া হবে। ফলে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ দেওয়া হলেও অন্য মুসলিম দেশগুলোর মতো সরাসরি ইরানে আক্রমণ চালানোর সাহস নেই আমেরিকার।