রিয়াদ, ২৯ মে: সরকারি কাগজে দুই দেশের মধ্যে মিত্রতার চুক্তি না থাকলেও তলে তলে ভাব জমিয়ে তুলেছে দু’পক্ষই। এর ফলে শুরু হয়েছে সউদি সরকারের সমালোচনা। এতদিন যে সউদি সরকার আরব বিশ্বের মুখপাত্র হয়ে ইসরাইলের নির্যাতনমূলক ও বর্বর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এসেছে, আজ অন্তত তাদের থেকে এটা প্রত্যাশা করতে পারেননি অনেকেই। একদিন আগেই সউদির বিদেশমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলে তেল আবিবের নিন্দা জানিয়েছিলেন। এখন সেসব লোক দেখানো বলেই মনে হচ্ছে। আসলে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে সউদি আরবের। কারণ, ইহুদিদের জন্য বিশেষ ভিসা, বিশেষ সুবিধা, ব্যবসা-বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে দিচ্ছে রিয়াদ। এর ফলে সউদিতে ভিড় করছেন ইহুদি ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বিশেষ ভিসা পেয়ে ইসরাইলিরা ব্যবসার সূত্রে সউদিতে প্রবেশ করছেন। দিন দিন আনাগোনা বাড়ছে তাদের। সউদি ও ইসরাইলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এভাবেই বিশ্বকে লুকিয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠছে। একটি সূত্র জানায়, ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সউদির সঙ্গে পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে ইসরাইলের। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোর এত বেশি প্রসার আগে ঘটেনি। আগের বাণিজ্যিক সম্পর্কগুলো আসলে কিছুটা আড়ালে ছিল। কারণ, বেশিরভাগ চুক্তিই ইউরোপীয় বা অন্যান্য দেশে নিবন্ধিত এবং সেসব দেশে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু ইদানীং ইসরাইলি ব্যবসায়ীরা বিশেষ ভিসা নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সউদি প্রবেশ করছে। তাদের জন্য বিশেষ সুবিধারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবচেয়ে প্রচলিত ও সহজ ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে প্রযুক্তি খাত। জানা গেছে, ইসরাইলি ব্যবসায়ীরা সউদি আরবে এরইমধ্যে মরুভূমির কৃষিক্ষেত্রে মিলিয়ন ডলার মূল্যের কয়েকটি চুক্তিতে সই করেছে। কৃষি ছাড়া অন্য চুক্তিগুলো হয়েছে মেডিকেল ডিভাইসসহ নাগরিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত খাতে।