পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ অবশেষে ইইউ-এর মধ্যস্থতায় সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা খানিকটা কমল। ইইউ-এর বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল জানিয়েছেন, এখন থেকে দুই দেশের নাগরিকই এদেশে থেকে ওদেশে অবাধে চলাচল করতে পারবেন। শনিবার বোরেল জানান, কসোভো ও সার্বিয়া উভয় দেশই নাগরিকদের একে অন্যের দেশে প্রবেশের জন্য কোনও ‘এন্ট্রি-এক্সিট’ ডকুমেন্ট চাইবে না।
ব্রাসেলসে কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি ও সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচের মধ্যে বৈঠকের পর ইইউ-এর নজরদারিতে এই সমঝোতা হয়েছে। কসোভোয় অবস্থিত সার্বিয়ান অফিসের প্রধান পেটার পেটকভিচ এই ‘মুক্ত চলাচল’ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বলেন, ‘আমরা কসোভোয় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টায় সফল হয়েছি। যেসব সার্বরা কসোভোয় থাকেন তারা সার্ব আইডি নিয়েই চলাচল করতে পারবেন, এভাবে এই অঞ্চলে সার্ব অস্তিত্ব টিকে থাকবে।’ প্রিস্টিনা থেকে কসোভোর প্রধানমন্ত্রী কুর্তি বলেন, ‘সবকিছু স্বাভাবিক করার জন্য পারস্পরিক সুবিধাদানের নীতি রাখতে হবে। তবেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বোঝা যাবে।’
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত কসোভোকে স্বাধীন দেশ মনে করে না সার্বিয়া। উত্তর কসোভোয় বসবাসরত সার্বরা দীর্ঘকাল ধরে প্রিস্টিনার শাসনকে অস্বীকার করে এসেছে। তারা কসোভোয় বাস করলেও সার্বিয়ার সরকারের প্রতি অনুগত। এ কারণেই ব্রাসেলসে আয়োজিত বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের বৈরিতা কম করার একটা চেষ্টা করেছে ইইউ।
সম্প্রতি দুই দেশের সীমানা ও নাগরিক চলাচল নিয়ে কসোভোর সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। সেসময় প্রয়োজনে হস্তক্ষেপের কথা জানায় ন্যাটো। বুধবার ব্রাসেললে কুর্তি ও ভুচিচ মার্কিন উপবিদেশমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল এস্কোবারের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে সমর্থনের জন্য আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানান জোসেপ বোরেল।
বলেন, ‘স্বাধীন চলাচল নিয়ে এই আলোচনা শেষ হয়নি, এখনও কিছু সমস্যা আছে। আমি আশা করি দুই দেশের নেতাই লাইসেন্স প্লেট ইস্যুতে গঠনমূলক আলোচনা চালিয়ে যাবেন। সার্বিয়ান নেতা ভুচিচ বলেন, ‘আইডি কার্ডে সমস্যাটা সামান্য, জটিল বিষয় হল লাইসেন্স প্লেট।’