পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীয়ের ওপর অত্যাচার চালানোকে কখনই একজন স্বামীর অধিকার বলে মেনে নেওয়া যাবে না। একটি বিচ্ছেদ মামলায় পর্যবেক্ষণে জানাল দিল্লি হাই কোর্ট। এক মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। উপযুক্ত প্রমাণও দাখিল করেছিলেন তিনি। আদালত বিচ্ছেদে সম্মতি দিয়েছে। সেই সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, স্বামী বিবাহের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অক্ষম। এমনকি সম্পর্কে এই মহিলা স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ওই মহিলা। এই সব খতিয়ে দেখার পর, আদালত জানিয়ে দেয় স্ত্রী হলেই তাকে অত্যাচার করার কোনও অধিকার স্বামীর বর্তায় না। মহিলা আদালতকে জানিয়েছেন, অত্যাচারের পর স্বামী আর তাকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যেতে চাননি।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত ও বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণার ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, কোনও আইন স্বামীকে তাঁর স্ত্রীর ওপর অত্যাচারের অধিকার দেয় না। তাই সেই যুক্তিতে স্ত্রী বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারেন। এই বিচ্ছেদে কোনও আপত্তি জানাননি মামলাকারীর স্বামীও।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলা জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তার ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হত। অত্যাচারের কারণে ২০১৩ সালে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু তার পর তার স্বামী আর তাকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরত নিয়ে যাননি। মহিলা এক সময় ভেবেছিলেন ধীরে ধীরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু তা কমেনি, উলটে বেড়েই গেছে। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনও চেষ্টা ছিল না ওই ব্যক্তির। স্ত্রীকে তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত।