পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দেশে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বাড়লেও, টিকাকরণে জোর জবরদস্তি খাটে না। টিকা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে জোর করে টিকা দেওয়ার কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি। অন্যভাবে সক্ষম নাগরিকদের টিকার শংসাপত্র দেখানো থেকে পরিত্রান দেওয়া হোক। এই মর্মে একটি মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায়, তারা জোর করে টিকা দেওয়ার পক্ষপাতী নয়।আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ‘টিকা নিয়ে যে নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, তাতে কোথাও বাধ্যতামূলক ভাবে টিকা নেওয়ার কথা বলা হয়নি।’
হলফনামায় কেন্দ্র আরও বলেছে, ‘অতিমারি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বৃহৎ জনস্বার্থের দিকে তাকিয়ে টিকাকরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’ মন্ত্রক শীর্ষ আদালতকে আরও জানিয়েছে, ‘মানুষকে টিকার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করতে লাগাতার বিজ্ঞাপন এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু কাউকেই জোর করে টিকা দেওয়া হয়নি।’দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে ৬৮ শতাংশের। শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়াও। সেই উপলক্ষে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে টিকাকরণের সঙ্গে যুক্ত সকলকে কুর্নিশ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
করোনার টিকা নিয়ে জনমনে একটা আশংকা তৈরী হয়েছিল। বহু জায়গাতেই সাধারণ মানুষের কাছে চাওয়া হচ্ছিল করোনা সার্টিফিকেট। না থাকলে তাদের অনেকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল।দেশজুড়ে এমন নানা খবর মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছিল। বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল বিশেষভাবে সক্ষমদের। এবার তারা অনেকটাই আস্বস্ত হলেন বলে মনে করা হচ্ছে।