পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সাংগঠিক রদবদল। বিজেপির শীর্ষ সংগঠনের সংসদীয় কমিটি থেকে থেকে বাদ পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি, ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে মূল সাংগঠনিক বিজেপির শীর্ষ সংসদীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়েছেন শাহনেওয়াজ হোসেনও। এমনকী বাদ গেছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নামও।
বুধবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ঘোষণা করলেন দলের সংসদীয় বোর্ড ও নির্বাচনী কমিটির সদস্যদের নাম। সাংগঠনিক পরিবর্তনে, বিজেপি বুধবার তার সংসদীয় বোর্ড থেকে নীতিন গড়করি এবং শিবরাজ সিং চৌহানকে বাদ দিয়েছে। দেবেন্দ্র ফড়নবীস, ওম মাথুর এবং ভূপেন্দ্র যাদবকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য করেছে। কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরআপ্পা পুনর্গঠিত সংসদীয় দলের বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, যেখানে এখন অনেক নতুন মুখ রয়েছে। এসেছেন সর্বানন্দ সোনোয়ালও।
বুধবার বিজেপির সাংগঠিক রদবদল হয়। সেখানে সংগঠনের কমিটি থেকে নীতিন গড়করি, শিবরাজ সিং চৌহানের নাম বাদ দেওয়া হয়। রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়ে উত্তরপ্রদেশের গদিতে বসেন যোগী আদিত্যনাথ। তার পরে সংসদীয় কমিটিতে আদিত্যানাথের নাম রাখা হতে পারে বলে জোর জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু বাদ পড়ল যোগীর নামও।
অন্যদিকে নীতীন গড়করি একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, একজন প্রাক্তন দলীয় প্রধান। তবে কমিটি থেকে নীতীন গড়করির বাদ যাওয়া নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
সংসদীয় বোর্ড হল বিজেপির শীর্ষ সংস্থা এবং মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্য প্রধান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।যে সংসদীয় বোর্ড গঠিত হল, তাতে সদস্য সংখ্যা ১১। সদস্য হিসাবে রয়েছেন, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিএস ইয়েদুরাপ্প। কমিটির নতুন সদস্য।
এ ছাড়া রয়েছে, সর্বনান্দ সোনওযাল, কে লক্ষণ, ইকবাল সিং লালপুরা, সুধা যাদব, সত্যনারায়ণ জেটিয়া, বিএল সন্তোষ। এ ছাড়া যে নির্বাচনী যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তাতে মোট সদস্য রয়েছেন ১৫ জন। সেই সদস্য তালিকায় সংসদীয় বোর্ডের ১০ জন রয়েছেন, শুধু সেই কমিটির বিএল সন্তোষ নেই নির্বাচনী কমিটিতে। এ ছাড়াও রয়েছেন, ভুপেন্দ্র যাদব, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, ওম মাথুর, বিএল সন্তোষ, বনথী শ্রীনিবাস।